এই ব্যাটিং দর্শক টানবে কীভাবে?
টি-টোয়েন্টি মানেই ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং ও দর্শকদের উল্লাস। কিন্তু বিপিএলে এখন পর্যন্ত তার কতটুকু দেখা যাচ্ছে? প্রশ্নটা উঠছেই। খাঁ খাঁ গ্যালারির সঙ্গে বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানের শম্বুক ব্যাটিং-ই এই বিশেষ বিপিএলের আপাত প্রামাণ্য চিত্র। আজ সিলেট থান্ডার-রাজশাহী রয়্যালসের ম্যাচেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। আগে ব্যাট করতে নেমে সিলেট এক শ রানও তুলতে পারেনি। অলআউট হয়েছে ৯১ রানে।
ছুটির দিন হওয়ায় আজ শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি টইটম্বুর না হোক অন্তত চোখে পড়ার মতো দর্শকসংখ্যার আশা ছিল। কিন্তু এবার বিপিএল কোনোভাবেই দর্শক টানতে পারছে না! মাঠের খেলা জমজমাট হলে অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টেও যেতে পারে। আজ যেমন সিলেটের ব্যাটিং টিভি সেটে দেখে গ্যালারিতে গিয়ে ম্যাচ দেখার আশা মরে যেতে পারে! কিংবা গ্যালারিতে বসে থাকা দর্শক যদি স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তাতেও দোষ দেওয়া যায় না। সিলেটের কোনো ব্যাটসম্যান যে ২০ রানের ওপাশেও যেতে পারেনি!
১৫.৩ ওভার টিকেছে সিলেটের ইনিংস। এর মধ্যে দলটি সবশেষ বাউন্ডারি পেয়েছে ৭.৪ ওভারে। এরপর আর বাউন্ডারির দেখা মেলেনি। ওই ওভার শেষে সিলেটের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৬৩। এখান থেকে পরের ৪৭ বলে মাত্র ২৮ রান তোলার বিনিময়ে সিলেট হারিয়েছে বাকি ৭ উইকেট। ১৪তম ওভারে আরেকটি ডেলিভারি পেলে ফরহাদ রেজা হয়তো হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন! ওই ওভারে ৩ উইকেট নেওয়া রাজশাহীর এ পেসার শেষ দুই বলে নিয়েছেন ২ উইকেট। কিন্তু তাঁর দুর্ভাগ্য বোলিংয়ে ফেরার আগেই পরের দুই ওভারে শেষ ২ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় সিলেট।
>বিপিএলে আজ রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে এক শ রানও তুলতে পারেনি সিলেট থান্ডার
হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে পারতেন অলক কাপালিও। পঞ্চম ওভারে শেষ দুই বলে জনসন চার্লস ও জীবন মেন্ডিসকে তুলে নেন এ অলরাউন্ডার। যদিও শুরুটা ভালোই করেছিলেন সিলেটের দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও চার্লস। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে আন্দ্রে রাসেলকে উইকেট দেওয়ার আগে চার্লসের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়েন রনি। এ জুটিটাই সিলেটের ইনিংসে সর্বোচ্চ। চতুর্থ উইকেটে ৩১ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মোসাদ্দেক-মিঠুন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুজন আউট হওয়ায় বেশি দূর এগোতে পারেনি সিলেট। দুজনের ব্যাট থেকেই এসেছে সর্বোচ্চ ২০ রান।
রাজশাহীর হয়ে ৩ ওভারে ১৭ রানে ৩ উইকেট নেন কাপালি। ২টি করে উইকেট রবি বোপারা ও ফরহাদ রেজার।