যে বাধা পেরিয়ে সোনা জিতেছেন মারজান
>কারাতেয় সোনা জিতেছেন মারজান আক্তার। এ সাফল্য অনেক বাধা পেরিয়েই।
দেশের হয়ে কারাতেয় সোনা জিতেই চোখ ছলছল মারজান আক্তারের। সেটি অবশ্য আনন্দে। কত কষ্টর এই সোনার পদক, কত কষ্ট করেই না কারাতে চালিয়ে গেছেন বাংলাদেশের এই স্বর্ণকন্যা।
সকালটা দারুণ আনন্দের ছিল বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের। তিন-তিনটি সোনা এলে কারাতেয়। প্রথমে আল আমিন; ৬০ কেজি ওজন শ্রেণির কুমি ইভেন্টে। এরপর একে একে মারজান ও হোমায়রা আক্তার। হোমায়রা ৬১ কেজি কুমিতে, মারজান অনূর্ধ্ব–৫৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে। মারজান হারালেন পাকিস্তানের প্রতিপক্ষকে। সাফল্যের এ দিনে মারজানের খুব মনে হচ্ছে তাঁর মা–বাবার কথা। কিছুটা হাসিও পাচ্ছে। মেয়ে কারাতে খেলছে বলে মা–বাবার কত রাগ। কত বাধা। কিন্তু মা–বাবার সাহায্যও তো পেয়েছেন তিনি, ‘আমার প্রথমেই মনে পড়ছে মা–বাবার কথা। তাঁরা আমাকে সবচেয়ে বেশি বাধা দিয়েছেন।’ সেই বাধা থেকেই জেদের জন্ম। সে জেদই তাঁকে এনে দিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হওয়ার গৌরব।
কারাতের পোশাকে এমব্রয়েড করা থাকে জাতীয় পতাকা। ওই পতাকার দিকেই তাকিয়েছেন প্রতিটি লড়াইয়ের আগে, ‘যখন খেলতে নেমেছি, তখন মনে হয়েছে, এই পতাকার জন্য লড়ব। কিছু একটা করে দেখাব।’ মারজান করে দেখিয়েছেন। কাঠমান্ডুতে বাজিয়েছেন ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’র সুর। সে এক অনন্য মুহূর্ত।
সে মুহূর্তে নিশ্চয়ই সবচেয়ে বেশি আনন্দিত ছিলেন মারজানের মা–বাবা!