ধোনি জানালেন কীভাবে তিনি দাম্পত্য জীবনে সুখী
>ভালো অধিনায়ক কীভাবে হতে হয়, বা ক্রিকেট ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তে কীভাবে মাথা ঠান্ডা করে ম্যাচ বের করে আনা যায়, সে নিয়ে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির কোনো পরামর্শ আপাতত না পাওয়া গেলেও, কীভাবে সুখী দাম্পত্য জীবন কাটানো যায়, সেই রহস্য ফাঁস করে দিয়েছেন এই তারকা
স্ত্রী সাক্ষী ধোনিকে বিয়ে করেছেন সেই ২০১০ সালে। এখনো দুজনের পথচলায় কোনো রকমের বাধা আসেনি। কখনো কোনো বিতর্কেরও জন্ম দেয়নি এ জুটি। কীভাবে সম্ভব হয়েছে সেটা? ধোনি নিজেই জানালেন সফল দাম্পত্যজীবনের রহস্য।
সেদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। চেন্নাইয়ে একটা অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে দেখা গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ককে। সেখানেই দাম্পত্যজীবনে নিজের ভূমিকা ব্যাখ্যা করেছেন, ‘আমি কিন্তু একজন আদর্শ স্বামীর চেয়েও ভালো। আমার চেয়ে আদর্শ স্বামী পাবেন না। কারণ আমি আমার স্ত্রীর সব কথা মেনে চলি। যা চায় তাই-ই করতে দিই। কখনো দ্বিমত পোষণ করি না। এতে সেও খুশি থাকলে। আর সে খুশি থাকলে আমিও খুশি!’
বিয়ের পরে যে সব ছেলেই বদলে যায়, বিয়ের পর সেটাও বুঝেছেন ধোনি, ‘বিয়ের আগে সব ছেলেই সিংহ থাকে। বিয়ের পরে ব্যাপারটা আর তেমন থাকে না। সব ছেলেই বদলে যায়। এই যে দেখুন, এখন আমার কথা শুনে আপনারা সবাই হাসছেন, অর্থাৎ আমি ভুল কিছু বলছি না! মানে আসল ঘটনা এটাই!’
ধোনির কথা শুনে অনুষ্ঠানে হাসির রোল ওঠে। দিলখোলা এই ধোনিকে বহুদিন পর দেখল সবাই। বিশ্বকাপের পর থেকে এমনিতেই ধোনির অবসর নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ধোনি কবে অবসর নেবেন, দেশে না বিদেশে, ভারতীয় দলে তার জায়গা হবে কী না, এ নিয়ে অনেক কথাবার্তা চলছে।
দাম্পত্যজীবনে আসল ভালোবাসার বয়স কখন, সেটাও বলেছেন ধোনি, ‘আমার মতে, দাম্পত্য জীবনে আদর্শ প্রেমের সময় হলো যখন আপনার বয়স পঞ্চাশ পার হয়ে যাবে। এই ধরুন ৫০ থেকে ৫৫ বছর, এই সমস্যাটা। কারণ ওই সময়ে আমরা কর্মজীবন থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে আসি। এত দিন ধরে আমরা যে গৎবাঁধা রুটিন মেনে চলতাম, তা থেকে ফুরসত পাই। আমাদের হাতে ফ্রি সময় বাড়তে থাকে। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের আরও বেশি কাছে চলে আসি।’