ঢাকায় নয়, সোনার আশায় কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের ক্যাম্প
>এসএ গেমস ফুটবলের জন্য ২৭ নভেম্বর কাঠমান্ডুতে ক্যাম্প শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। গেমসে বাংলাদেশের লক্ষ্য সোনা।
এসএ গেমসের ফুটবলের জন্য বাংলাদেশ ক্যাম্প করতে পারবে কি পারবে না? প্রশ্নটা ফুটবল অঙ্গনে ঘুরছে। শেষ খবর হলো বুধবার থেকে ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ এবং তা হতে যাচ্ছে গেমসের ভেন্যু নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতেই। প্রথম আলোকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
ঢাকায় বৃহস্পতিবার শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প। কিন্তু বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়েরা যোগ না দেওয়ায় ক্যাম্প করার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কারণ, বসুন্ধরা তাদের আট খেলোয়াড় ছাড়তে চেয়েছিল ৩০ নভেম্বর। অবশেষে দেশের স্বার্থে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে করপোরেট ক্লাবটি। ২৭ নভেম্বর অনূর্ধ্ব-২৩ দলের জন্য খেলোয়াড় ছাড়তে রাজি হয়েছে তারা এবং সেদিনই কাঠমান্ডুতে ক্যাম্প করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক, ‘বসুন্ধরা ২৭ নভেম্বর খেলোয়াড় ছাড়তে সম্মতি দিয়েছে। সেদিনই আমরা কাঠমান্ডুতে ক্যাম্প করতে চাই। সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
এবারের গেমসে আর্চারির পরই সোনা জয়ের সম্ভাবনা থাকবে ফুটবলে। কারণ, প্রায় জাতীয় দল নিয়েই অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তিন সিনিয়র কোটায় নেওয়া হয়েছে অধিনায়ক ও মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া, ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান ও স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবনকে। নিজেদের শক্তিশালী দলের সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতের না খেলার সম্ভাবনা। এখন পর্যন্ত যা খবর, গেমসের ফুটবলে অংশগ্রহণ করবে না ভারত। সে হিসেবে বাংলাদেশের সামনে একটাই চ্যালেঞ্জ থাকবে, নেপাল। আর সেই চ্যালেঞ্জ টপকাতে পারলে সোনা জেতা অসম্ভব হবে না। এর আগে ফুটবলে দুবার সোনা জিতেছে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ কাঠমান্ডু ও ২০১০ ঢাকা গেমসে সোনা জেতা বাংলাদেশ গত আসরে জিতেছে ব্রোঞ্জ।
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হবে এসএ গেমস। নেপালে অনুষ্ঠিত সেই গ্রুপিং অনুযায়ী ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী নেপাল ও ভুটান। উদ্বোধনী দিনেই ফুটবলে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ভারত দল পাঠাতে না চাওয়া সত্ত্বেও তাদের রেখে গ্রুপিং করেছেন আয়োজকেরা। সে হিসেবে ‘বি’ গ্রুপে ভারতের প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ভারত তাদের দল পাঠাতে চাচ্ছে না গেমসে। শেষ পর্যন্ত ভারত কোনো ধরনের দলই যদি পাঠাতে পারে না, সে ক্ষেত্রে গ্রুপিং ও টুর্নামেন্টের ফরম্যাট নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে আয়োজকদের।