'কোনো কথা নেই বার্তা নেই, এসে গায়ে হাত তুলেছেন'
>আবারও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আলোচনায় পেসার শাহাদাত হোসেন। এবার সতীর্থ খেলোয়াড়ের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিপক্ষে
২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছিলেন পেসার শাহাদাত হোসেন। এর পরে জাতীয় দলে আর ডাক না পেলেও তাঁকে ভুলে যাওয়ার সুযোগ দেননি। নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়ে বেশ কয়েকবারই আলোচনায় এসেছেন এই পেসার। মাহফুজা আক্তার হ্যাপি নামের এক শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৫ সালে মামলা হয় জাতীয় দলের এই বোলারের বিপক্ষে। ওই মামলায় প্রায় দুই মাস জেলে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। শাহাদাত এবার আবার আলোচনায় এসেছেন সতীর্থ ক্রিকেটার আরাফাত সানির (জুনিয়র) গায়ে হাত তুলে।
গতকাল জাতীয় লিগে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খুলনা ও ঢাকা বিভাগের ম্যাচে কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন শাহাদাত। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে ফিল্ডিংয়ের সময় বল চকচকে করা নিয়ে আরাফাতকে চর-থাপ্পড়, লাথি মারেন শাহাদাত। এ সময় সতীর্থেরা এসে তাঁকে বাঁচান। এই ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেন ম্যাচের আম্পায়ার। শাহাদাতকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন।
এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে আম্পায়ার্স কমিটির প্রশিক্ষক অভি আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘লেভেল ৪ এর ঘটনা যখন ঘটবে, তখন আম্পায়াররা ক্রিকেটারকে মাঠ থেকে বের করে দিতে পারে। সেটিই হয়েছে। ওকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই ম্যাচে আর সে অংশ নিতে পারবে না। ওই যে লাল কার্ড ও সবুজ কার্ডের মতন। কাল রিপোর্ট হয়েছে। আজ কার্যকর হয়েছে।’
গতকাল মাঠে কী ঘটেছিল? এটা জানার জন্য প্রথম আলো শাহাদাত ও আরাফাত—দুজনের সঙ্গে কথা বলেছে। মাঠে মিড অফে ফিল্ডিং করছিলেন আরাফাত আর মিড অনে শাহাদাত। আরাফাতের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘ফিল্ডিং করার সময় আমাকে বল শাইন করার জন্য দেওয়া হয়েছিল। এখন বোলার শহীদ ভাই তো বোলিং করার জন্য প্রস্তুত হয়েছে, তাড়াতাড়ি বল দিয়ে দিতে হবে। রাজীব ভাই বললেন বল শাইন কর, আমি বললাম করছি। হঠাৎ কোনো কথা নেই বার্তা নাই, এসে আমার গায়ে তুলেছেন। মাঠে সবার সামনে মেরেছেন। আমি শুধু শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। ওনার মতো সিনিয়র খেলোয়াড় গায়ে হাত তুললে তো কিছু বলার নেই।’
তবে প্রথম আলোর কাছে শাহাদাত দাবি করেছেন তিনি তেমন কিছু করেননি। তাঁর দাবি, ‘সে আমার সতীর্থ খেলোয়াড়। বল শাইন করা নিয়ে আমাদের দুজনের মাঝে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। একপর্যায়ে আমি আরাফাতকে ধাক্কা দিয়েছি। এর বেশি কিছু নয়।’
ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ শাহাদাতের অপরাধকে ‘লেভেল ৪’ বলছেন। লেভেল-৪ এর শাস্তি হিসেবে কমপক্ষে এক বছর থেকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হতে পারেন এই অভিজ্ঞ পেসার। সঙ্গে আছে ম্যাচ ফি’র শতভাগ জরিমানা। ম্যাচ রেফারির প্রতিবেদন অনুযায়ী অন্তত এক বছর নিষিদ্ধ হওয়ার শাস্তি পাওয়ার কথা ৩৪ বছর বয়সী এই পেসারের।
আরও পড়ুন:
নিজ দলের খেলোয়াড়কেই পেটালেন শাহাদাত