নিজ দলের খেলোয়াড়কেই পেটালেন শাহাদাত
বড় শাস্তি অপেক্ষা করছে ঢাকা বিভাগের পেসার শাহাদাত হোসেনের জন্য। গতকাল খুলনায় খুলনা ও ঢাকা বিভাগের মধ্যকার জাতীয় লিগের ম্যাচে সতীর্থ আরাফাত সানির গায়ে হাত তুলেছেন তিনি। ম্যাচ চলাকালীন সময়েই এ কাণ্ড ঘটান এই পেসার।
ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ তাঁর প্রতিবেদনে শাহাদাতের অপরাধকে ‘লেভেল-৪’ বলছেন। যে অপরাধের শাস্তি সর্বনিম্ন এক বছর থেকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা। সে সঙ্গে ম্যাচ ফি’র পুরোটা জরিমানা তো আছেই।
গতকাল খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আরাফাত সানি জুনিয়রকে মারধর করেন শাহাদাত। ঘটনাটি হচ্ছে, ফিল্ডিংয়ের সময় শাহাদাত সানিকে বল শাইন করে দিতে বলেন। সানি অনীহা প্রকাশ করলে শাহাদাত তাঁকে চর-থাপ্পড়, লাথি মরেন। এ সময় সতীর্থেরা এসে সানিকে বাঁচান। এই ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেন ম্যাচের আম্পায়ার। শাহাদাতকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। ঢাকা খেলছে ১০ জন নিয়ে।
এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে আম্পায়ার্স কমিটির প্রশিক্ষক অভি আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘লেভেল ৪ এর ঘটনা যখন ঘটবে, তখন আম্পায়াররা ক্রিকেটারকে মাঠ থেকে বের করে দিতে পারে। সেটিই হয়েছে। ওকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই ম্যাচে আর সে অংশ নিতে পারবে না। ওই যে লাল কার্ড ও সবুজ কার্ডের মতন। কাল রিপোর্ট হয়েছে। আজ কার্যকর হয়েছে।’
শাহাদাতের ঘটনা নিয়ে ম্যাচ রেফারির প্রতিবেদনটি এখন টেকনিক্যাল কমিটি প্রধান মিনহাজুল আবেদীনের হাতে আছে। অভি আবদুল্লাহ বলছিলেন, ‘এখন টেকনিক্যাল কমিটি বাকি সিদ্ধান্ত নেবে। লেভেল-৪ এর রিপোর্ট টেকনিক্যাল কমিটিকে করতে হয়।’
মিনহাজুল আবেদীনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে শাহাদাতের ভাগ্য। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে শোনা যাচ্ছে, বড় শাস্তিই অপেক্ষা করছে শাহাদাতের জন্য। এর আগেও বেশ কয়েকবার শৃঙ্খলাজনিত কারণে শাস্তি পাওয়ার রেকর্ড আছে শাহাদাতের। গৃহ পরিচারিকাকে মারধর করে হাজতবাসও হয়েছিল জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটারের।