বাংলাদেশের দিবারাত্রির টেস্টে গোলাপি বলের মান নিয়ে প্রশ্ন
বাংলাদেশের বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্ট খেলার আয়োজন শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এর মধ্যেই এসজি ব্র্যান্ডের ছয় ডজন গোলাপি বল অর্ডার করেছে তারা। এ বলগুলো দিয়েই ইডেনে দিনরাতের টেস্ট খেলবে দুই প্রতিবেশী দেশ
দিবারাত্রির টেস্ট খেলা হয় গোলাপি বলে। স্বাভাবিকভাবেই, ইডেন গার্ডেনসে ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-ভারত দিবারাত্রির টেস্টও খেলা হবে গোলাপি বলে। সে জন্য ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসজির কাছে ছয় ডজন গোলাপি বলের ফরমাশ দিয়েছে বিসিসিআই।
তবে এসজি বল কতটুকু কার্যকরী হবে, তা নিয়ে সংশয় আছে। এর আগে এসজির বল নিয়ে কখনো দিবারাত্রির ম্যাচ হয়নি। খোদ ভারতেই এর আগে গোলাপি বলে খেলা হয়েছে দুলীপ ট্রফিতে। সেবার গোলাপি বল সরবরাহ করেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কুকাবুরা। এমনিতেই অস্ট্রেলিয়ার কুকাবুরা বা ইংল্যান্ডের ডিউক বলের চাইতে এসজি বল নিম্নমানের, কিছুদিন আগেও এ বলের মান নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
এসজি বলের পালিশ (চকচকে ভাব) ও কার্যকারিতা ডিউক বা কুকাবুরা বলের চেয়ে দ্রুত নষ্ট হয়, অভিযোগ ছিল কোহলির। তবে এ মৌসুমে এসজি বলের মান অনেক উন্নত হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে। ভারতের মাটিতে সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে এসজির বলই ব্যবহার করেছেন কোহলি-ডু প্লেসিরা। কিন্তু সেগুলো ছিল লাল বল। দিবারাত্রির টেস্টে গোলাপি বলের মান কেমন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
সবকিছু জেনেও বিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি সেই এসজির কাছেই বলের অর্ডার দিয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যেই ছয় ডজন বল চলে আসবে কলকাতার বিখ্যাত ইডেন গার্ডেনসে। লাল বলের চেয়ে গোলাপি বলে ধুলাবালি লাগার সম্ভাবনা বেশি, যে কারণে দ্রুতই বলের পালিশ ওঠে, কার্যকারিতাও নষ্ট হয়। এ সমস্যার সমাধান এসজি কীভাবে করবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।