কে এই দীপক আগারওয়াল?
সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হয়েছেন। সেটি কোনো ম্যাচ পাতিয়ে বা কোনো দুর্নীতিতে না জড়িয়েই। তবে আইসিসির দুর্নীতি দমন নীতিমালায় জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পাওয়ার পর তা জায়গা মতো না জানানো বড় অপরাধই। সে অপরাধেই তাঁকে ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হবে এক বছর (নিষেধাজ্ঞা দুই বছরের, এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা)। দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকাকে যে জুয়াড়ি ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপ বিভিন্ন অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে, সে ব্যক্তির নাম দীপক আগারওয়াল, একজন কুখ্যাত জুয়াড়ি। অনেক দিন ধরেই সে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (এসিইউ) কড়া নজরদারির মধ্যে আছে।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জানা যাচ্ছে, এই জুয়াড়ি ভারতীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরও নজরদারির বাইরে নন। আইপিএলসহ বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে স্পট ফিক্সিংসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ ভারতীয় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আছে। ২০১৭ সালে ভারতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। দুই সহযোগীসহ বেশ কিছু দিন জেলে থাকার পর সে বেরিয়ে আসে। পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ না থাকার কারণে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও জেল থেকে বেরিয়ে এসেছে সে।