মিসবাহর নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে নয়, বললেন ইউসুফ
জাতীয় দলে একাই বড় দুটি পদ সামলানোর নজির নেই বললেই চলে। মিসবাহ-উল–হক এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। কিছুদিন আগে পাকিস্তান দলের প্রধান কোচ ও প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পান তিনি। যদিও এর আগে বড় পর্যায়ে কোচিংয়ের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না মিসবাহর। পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফ তাই মনে করেন, মেধার ভিত্তিতে মিসবাহর কাঁধে দায়িত্ব তুলে দেয়নি পিসিবি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সমালোচনায় সব সময়ই সরব ইউসুফ। মিসবাহর দ্বৈত ভূমিকায় দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে কৌশলগত একটি প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শুধু স্কোরকার্ডের ওপর ভিত্তি করে মিসবাহ কীভাবে প্রথম শ্রেণির প্রতিভা খুঁজে বের করবেন, সে প্রশ্ন রেখেছেন ইউসুফ।
পাকিস্তানের হয়ে ৯০ টেস্ট ও ২৮৮ ওয়ানডে খেলা সাবেক এ ব্যাটসম্যান বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, প্রধান কোচ হওয়ায় মিসবাহকে জাতীয় দলের সঙ্গে থাকতে হবে। কিন্তু একই সঙ্গে প্রধান নির্বাচক হওয়ায় প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের খুঁজে বের করার দায়িত্বও পড়ে মিসবাহর কাঁধে। জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলে দেশের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবানদের মিসবাহ কীভাবে খুঁজে বের করবেন? তখন শুধু স্কোরকার্ডের ওপর ভিত্তি করে মিসবাহকে প্রতিভাবান ক্রিকেটার বাছাই করতে হবে।
জিও টিভিকে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন, ‘প্রধান কোচ থাকবেন জাতীয় দলের সঙ্গে। তাহলে প্রথম শ্রেণিতে খেলা প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজ চোখে দেখে বাছাই করবেন কীভাবে? স্কোরকার্ড ও প্রাদেশিক দলের কোচেরা তাঁকে যা বলবেন, সেটাই শুনতে হবে। প্রাদেশিক দলের কোচরাই যদি সব করে দেয়, তাহলে প্রধান নির্বাচকের কী প্রয়োজন?’
ইউসুফের মতে, মেধার ভিত্তিতে বাছাই করা হলে মিসবাহর চেয়ে ওয়াকার ইউনিসের যোগ্যতা বেশি। কিন্তু পাকিস্তানের কিংবদন্তি এ পেসার বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন। মিসবাহ ও ওয়াকারের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ থেকে। করাচিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। নিরাপত্তার অজুহাতে এ সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ১০ ক্রিকেটার। তবে শ্রীলঙ্কা পূর্ণ শক্তি নিয়ে এলেও পাকিস্তানের কাছে পাত্তা পাবে না বলে মনে করেন ইউসুফ।