সাকিব-মুশফিকদের গুরুকে থেকে যেতে বলছে বিসিবি
মাঠে বাজে পারফরম্যান্স, দল নির্বাচন নিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা! এর মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আরও একটু দুঃসংবাদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ছেড়ে দিচ্ছেন নাজমুল আবেদীন। বিসিবির পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, সাকিব-মুশফিকদের গুরুকে তারা থেকে যেতে বলছে।
১৪ বছর বিসিবির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা নাজমুল আবেদীন এ মাসের শুরুতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এক মাসের নোটিশ পিরিয়ডে আগামী ১ অক্টোবর বিসিবির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শেষ হওয়ার কথা। নাজমুলের পদত্যাগ নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী দুপুরে বললেন, ‘ফাহিম ভাই (নাজমুল আবেদীন) তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। বোর্ডেরও কিছু প্রক্রিয়া আছে। আমাদের তরফ থেকে তাঁকে বলা হয়েছে (পদত্যাগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে)। প্রধান নির্বাহী হিসেবে তাঁকে আমি বলেছি। তাঁর মতো অভিজ্ঞ একজনকে রেখে দিতে আমাদের চেষ্টা থাকবেই। তবে এখানে তাঁরও আগ্রহ থাকতে হবে। সবারই ব্যক্তিগত চাওয়া থাকে। তিনি হয়তো এটা সেভাবে চিন্তা করছেন না।’
বিকেএসপির সাবেক কোচ নাজমুল আবেদীন লম্বা সময় কাজ করেছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগে। গত এক যুগে পাইপলাইন সমৃদ্ধকরণে তাঁর অবদান তো আছেই। সাকিব-মুশফিকের মতো তারকা ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বেশির ভাগ খেলোয়াড় দুঃসময়ে শরণ নেন নাজমুলের। গত দুই বছরে তাঁর কাজের পরিধি ছোট করে ফেলা হয়েছে। নাজমুলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুধু নারী বিভাগের। সেখানেও তিনি সাফল্য পেয়েছেন। অনেকটা ঊষর ভূমিতে ফুল ফুটিয়েছেন। গত বছর মেয়েদের এশিয়া কাপ জয়ে তাঁর অবদান অসামান্য।
নাজমুলের ক্রিকেট বিশ্লেষণী সব সময়ই প্রশংসিত। বিসিবিতে যুক্ত থেকেও দেশের ক্রিকেটের এই অভিভাবক সংস্থার নানা অসংগতি, ভুলত্রুটি আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে দুবার ভাবেননি। স্পষ্টভাষী নাজমুলের এদিকটা হয়তো বিসিবি সহজভাবে নিতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, বিসিবি তাঁর মেধা-প্রজ্ঞা কাজে লাগাতে অনাগ্রহী এ কারণেই।
নাজমুলের পদত্যাগের খবরে বিসিবিকে কাঠগড়ায় তুলছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিসিবি যদি তাঁকে থেকে যেতে অনুরোধ করে, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কি পুনর্বিবেচনা করবেন? নাজমুল আপাতত নিজের সিদ্ধান্তেই অনড়, ‘বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত (পদত্যাগপত্র গ্রহণ) এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। এ মাসটাই শুধু আছি (বিসিবিতে)। অনেক দিন কাজ করলাম এখানে, এখন একটু মুক্ত থাকতে চাই।’