এটা এগারোজনের বিপক্ষে এগারোজনের খেলা
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে বরাবরই আশাবাদী মানুষ। আগামীকাল তাজিকিস্তান রওনা হওয়ার আগে কাল বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনের পুরো অংশেই জেমি ডেকে আত্মবিশ্বাসী মনে হলো। ১০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন জেমি ডে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাই অভিযানটা ‘ভালো ফল’ দিয়েই শুরু করতেন চান এই ব্রিটিশ কোচ।
বাংলাদেশের জন্য আফগানিস্তান বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ। তাদের ফিফা র্যাঙ্কিং ১৪৯, বাংলাদেশের ১৮২। প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়া ৩ খেলোয়াড় বাদে সবাই ইউরোপে খেলে। তা ছাড়া এই আফগানদের বিপক্ষে ১৯৭৯ সালের পর আর কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয় দল। দিন দিন যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান এতই উন্নতি করেছে যে ভারতকে হারিয়ে তারা সাফে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। বর্তমান আফগানিস্তান অনেক শক্তিশালী।
জয়ের ব্যাপারে তবু আশাবাদী জেমি। অতীত পারফরম্যান্স নয়, নির্দিষ্ট একটা দিনে খেলোয়াড়েরা কেমন করেন, সেটাই যে ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেয়, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন জেমি, ‘আমরা ভালো খেললে জিতব। আমি বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১৪ মাসে যাদের সঙ্গে খেলেছি, সবাই আমাদের চেয়ে এগিয়ে থাকা দল। আমরা সেসব ম্যাচে ভালো করেছি। শেষ পর্যন্ত এটা এগারোজনের বিপক্ষে এগারোজনের খেলা। কাজেই আমাদেরও সুযোগ আছে। তবে হ্যাঁ, আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। টেকনিক্যালি আরও ভালো ফুটবল খেলা চাই। এটি আমাদের জন্য কঠিন ম্যাচ, সন্দেহ নেই। কঠিন চ্যালেঞ্জও। তবে আমরা এই চ্যালেঞ্জ উতরাতে পারব বলে আশা করি।’
বাস্তবতা মানলে দুই দলের যা অবস্থান, বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আফগানরা। অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র করতে পারলেই জয়ের সমান! আর আফগানিস্তানকে হারাতে পারলে সেটা ‘মিরাকল’ বলে মনে হতে পারে অনেকের কাছে। এতটা নেতিবাচক চিন্তার মধ্যে নেই জেমি, ‘না, এটা অলৌকিক ভাবি না। প্রতিপক্ষের খারাপ দিন গেলে এবং আমরা সেরাটা দিতে পারলে ভালো করব। আমরা ফিট, আমরা তৈরি।’
আজ বিকেলে ২৬ জন থেকে ৩ জন কমিয়ে দল ঘোষণা করা হবে। কোচ অপেক্ষা করছেন আবাহনীর সাত ফুটবলারের জন্য। উত্তর কোরিয়ার এএফসি কাপের ম্যাচ শেষে গত রাতেই আবাহনীর ঢাকায় ফেরার কথা।