ক্যারিবীয় এই পেসার বিশ্বকাপে খেলবেন ইংল্যান্ডের হয়ে?
বিশ্বকাপ কে জিতবে এবার? এ প্রশ্নে কেউ সরাসরি উত্তর দেওয়ার সাহস করছেন না। কিন্তু প্রশ্নটা একটু ঘুরিয়ে যদি বলা জয়, কে ফেবারিট? তাহলেই সবার আগে বলা হচ্ছে ইংল্যান্ডের নাম। দুই দশক পর নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ খেলবে ইংল্যান্ড। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষ দল তারা। ২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে চার বছর ধরে তারা পরিকল্পনা করছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সে পরিকল্পনায় একটু পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগতেও পারে।
ইংল্যান্ড দলকে এ ঝামেলায় ফেলে দিয়েছেন জফরা আর্চার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা এই ফাস্ট বোলার যে লোভ জাগাচ্ছেন ইংলিশ নির্বাচকদের মনে। ইংল্যান্ডের এই দলে পেসারের অভাব নেই। ক্রিস ওকস, জ্যাক বল, টম ও স্যাম কারেন, স্টিভেন ফিন, ডেভিড উইলি, মার্ক উড—তালিকাটা লম্বা। কিন্তু আর্চারের মতো কেউ নেই। যে প্রচণ্ড গতির সঙ্গে দুর্দান্ত সব ইয়র্কার দিতে পারেন ইচ্ছামতো। পাঁচ বছর ধরে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দলে খেলছেন বলে চাইলেই তাঁকে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে ডাক দেওয়া যাবে। গত বছর এ ব্যাপারে খুব একটা ইতিবাচক কথা শোনাননি ইংলিশ অধিনায়ক এওইন মরগান। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতেই আর্চার প্রসঙ্গে নমনীয় হয়েছেন মরগান। বলেছেন, আর্চারও বিবেচনায় আছেন।
আর্চারের মতোই বার্বাডোজে জন্ম ইংলিশ অলরাউন্ডার ক্রিস জর্ডানের। আর্চারকে কাউন্টিতে নিয়েছেন এই অলরাউন্ডারই। নিজের উত্তরসূরির দক্ষতায় এতটাই মুগ্ধ যে জর্ডান নিশ্চিত, আর্চার ইংল্যান্ডের হয়ে খেলবেন এবং সেটা বিশ্বকাপেই, ‘জফরা আর্চার ইংল্যান্ডের হয়ে এই গ্রীষ্মেই ভূমিকা রাখবে। সে দিন দিন ভালো হচ্ছে। প্রতিবার যখন মাঠে নামে, ওর খেলার মান যেন ততই বাড়ে। এটা এ ছেলের স্বভাবজাত। সে অনেক বিনয়ী। ওর জীবনে সাফল্য ছাড়া কিছু দেখছি না আমি।’
বার্বাডোজ থেকে আর্চারকে ইংল্যান্ডে এনেছেন জর্ডান। এখন ইংল্যান্ড দলেও তাঁকে পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন জর্ডান, ‘আমরা পাশাপাশি থাকি। ইংল্যান্ডের হয়ে একসঙ্গে খেললে স্বপ্নপূরণ হবে আমাদের। আমাদের দুজনের পথযাত্রা শুরু হয়েছে বার্বাডোজে, সেখানেই আমাদের সম্পর্কের শুরু। আমি রোব্বোকে (মার্ক রবিনসন, সে সময়কার সাসেক্স কোচ) বলেছিলাম, আমাদের ওকে আনা উচিত এবং দেখা উচিত।’
বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় বেশ পরিচিত মুখ জর্ডান। কাজ চালানো বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যাট হাতেও ঝড় তুলতে পারেন। তবে আইপিএলে এবার নজর কাড়ছেন জফরা আর্চার। রাজস্থান রয়্যালস ভালো করতে না পারলেও দারুণ খেলছেন এই ফাস্ট বোলার। আইপিএলের উইকেটেও দুই ম্যাচে পুরো ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়েছেন, তুলেছেন গতির ঝড়। আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতায় এমন পারফরম্যান্স যে কতটা দুর্দান্ত, সেটা জর্ডানই ব্যাখ্যা করে বোঝালেন, ‘ভারতে বল করা সোজা না। অনেকেই ৫০–এর বেশি রান দিয়ে ফেলে এবং সেটাও খারাপ বল না করেই! আইপিএল সম্পূর্ণ ভিন্ন মানের—ভক্ত, প্রস্তুতি, সবকিছু। তাই প্রতিদিন ভালো করার মানসিকতা সৃষ্টি করতে পারা বলার মতো অর্জন।’