এভাবেই বিশ্ব জয় উদ্যাপন করতে হয়!
৩ ক্যারেট সাদা হীরা, রুবি ও স্যাফায়ারের মিশ্রণে তৈরি এক একটি আংটি। ওপরে ফ্রান্স ফুটবলের ফেডারেশনের প্রতীক, আর দুই পাশে লেখা দুটি শব্দ। এক পাশে ওয়ার্ল্ড, অন্য পাশে চ্যাম্পিয়ন! আঙুলকে ঘিরে রাখা আংটির ব্যান্ডের এক পাশে বিশ্বকাপ ট্রফির পাশে নকআউট পর্বে ফ্রান্সের চার ম্যাচের ফল লেখা। অন্য পাশে আংটি প্রাপকের নাম। এমন দামি উপহার কাদের দেওয়া হচ্ছে?
বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতি এক বছর পুরোনো হতে চলল। মৌসুমভিত্তিক যেকোনো সাফল্যই ভুলে যান ফুটবলাররা, সমর্থকেরা তো বটেই। কিন্তু এ এমন এক অর্জন যেটা পরের বিশ্বকাপের আগপর্যন্ত তাজা থাকে। শুধু পরের বিশ্বকাপ কেন, যুগের পর যুগ ধরে সে স্মৃতি রোমন্থন হয়। একজন ফুটবলারের জীবনে এর চেয়ে বড় অর্জন আর কী হতে পারে! ইতিহাসে লেখা থাকবে নাম, ঘরে ঝুলবে ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’ লেখা পদক। যুগের সেরা লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সে সৌভাগ্য হয়নি। রায়ান গিগসের মতো ফুটবলার তো বিশ্বকাপ খেলার স্বাদও পাননি! ইউনাইটেডের বর্তমান প্রজন্মের পল পগবার নিজেকে তাই ভাগ্যবান ভাবাটা স্বাভাবিক। এ কারণেই হতো কৃতজ্ঞতাবোধ জেগেছে তাঁর। যাঁদের সঙ্গে মিলে গত জুলাইয়ে ফ্রান্সকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে উপহার দিলেন হীরকখচিত এমন আংটি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল লিগে এমন উপহারের চল আছে। পগবা নিজেও জুভেন্টাস ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আসার সময় সতীর্থদের নাকি এমন উপহার দিয়েছিলেন। এবার রাশিয়া বিশ্বকাপজয়ী দলের সবাইকে হীরার আংটি দেওয়ার সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন ফ্রান্স-সতীর্থ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড আঁতোয়ান গ্রিজমানের সঙ্গে মিলে। নকশা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বেভারলি হিলসের জেসন। মলদোভার বিপক্ষে ইউরোর বাছাইপর্ব শুরুর আগে প্যারিসের ক্লেয়ারফন্টেইনে অনুশীলন ক্যাম্পে সতীর্থদের আংটিগুলো দিয়েছেন পগবা।
পগবা সতীর্থদের এমন আংটি উপহার দিয়ে বলেছেন, ‘অসাধারণ সব খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিলে বিশ্বকাপ জয়ের উপলক্ষে ছোট্ট একটা উপহার এটা। বিশ্বকাপের সামনে এমন উপহার আসলে কিছুই না, কারণ বিশ্বকাপ সারা জীবনের অর্জন। আংটিটি কেউ হারিয়ে ফেলতেই পারে, কিন্তু বিশ্বকাপের অর্জন কখনো হারাবে না।’ সতীর্থরাও কতটা খুশি, সেটি ব্লেইজ মাতুইদি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়ে বুঝিয়েছেন, ‘অবিস্মরণীয় স্মৃতি ধরে রাখতে অবিস্মরণীয় একটা উপহার। এমন অলংকারের জন্য তোমাকে (পগবা) হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে ধন্যবাদ।’