নিরাপত্তা-ব্যবস্থা বলতে কিছুই ছিল না বাংলাদেশ দলের
>ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় হতবাক বাংলাদেশের ক্রিকেট। নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা-ব্যবস্থা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় হতভম্ব, বিস্মিত, হতবাক বাংলাদেশের ক্রিকেট। অল্পের জন্য বেঁচে গেছে ক্রাইস্টচার্চে অবস্থানরত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। জানা গেছে, ঘটনার সময় বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তায় কোনো পুলিশ দূরে থাক, স্থানীয় কোনো লিঁয়াজো কর্মকর্তা পর্যন্ত ছিলেন না।
বাংলাদেশে কোনো বিদেশি দল খেলতে এলে যে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে দেওয়া হয়, বিদেশে গেলে বাংলাদেশ দল কেন একই নিরাপত্তা পাবে না? নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর প্রশ্নটা চলে এসেছে সামনে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান আজ দুপুরে গুলশানে নিজ বাসভবনে বিষয়টির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো দল যখন খেলতে আসে, তখন ওরা যে ধরনের নিরাপত্তার কথা বলে, সে ধরনের নিরাপত্তাই দিতে হয়। আমরা এখন পর্যন্ত এমন কিছু (নিরাপত্তা) পাইনি। সত্যি বলতে আমরা এটা নিয়ে জোরাজুরিও করি না। অন্য দেশগুলোও দেখেছি এটা নিয়ে কিছু বলে না। নিউজিল্যান্ডে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, ওদের ধারণাই নেই। আজ ঘটনাস্থলে পুলিশ যেতে যে সময় লেগেছে, এটাই তো অবাক করার মতো! আমার মনে হয় না আমাদের দেশে বা আশপাশের কোনো দেশে এমন কিছু হলে পুলিশ আসতে এত সময় লাগত। ওরা হয়তো অপ্রস্তুত ছিল। এখন হয়তো এই ব্যাপারে আরও সতর্ক হবে।’
সন্ত্রাসীদের কোনো সীমানা নেই। ক্রাইস্টচার্চের এ ঘটনা প্রমাণ করল, এ ধরনের ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কাজ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশেও হতে পারে। হতে পারে নিউজিল্যান্ডের মতো অতি উন্নত দেশেও। এই ঘটনার পর বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তা নিয়ে তাই নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে বিসিবি। নাজমুল হাসান বললেন, এখন থেকে প্রতিটি বিদেশ সফরে বাংলাদেশ দলের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন তাঁরা, ‘আজকের ঘটনার পর এটা নিশ্চিত, এখন থেকে যে দেশেই আমাদের দল খেলতে যাক না কেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এটা যারা দিতে পারবে, তাদের ওখানে আমরা খেলতে যেতে পারব। এ ছাড়া খেলতে যাওয়া সম্ভব না।’
এ ঘটনার পর বাতিল হয়ে গেছে ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট। খেলোয়াড়েরা মানসিকভাবে বড় ধাক্কা খেয়েছেন। এরই মধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ে কথা হয়েছে বিসিবি সভাপতির। পরারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নাজমুলকে আশ্বাস দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ দলকে দেশে ফিরিয়ে আনার।