দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা এখন সৌম্যরও
>
তামিম ইকবালের গড়া বাংলাদেশের টেস্টে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁয়েছেন সৌম্য সরকার
২০১০ সালে লর্ডসে ‘অনার্স পাস’ করেছিলেন তামিম ইকবাল। সেটিও বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে। নয় বছর পর তামিমের গতিতে ছুটেই সৌম্য সরকার কি নিজের টেস্ট ক্যারিয়ার বাঁচালেন?
নয় বছর আগে লর্ডসে তামিমের সেই ইনিংস যাঁরা দেখছেন, তাঁদের অনেকেই হয়তো আজ ভোররাতে ঘুমকাতুরে চোখে বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখতে বসেছিলেন। মনের মধ্যে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা তো ছিলই। শেষ পর্যন্ত তা সত্য হলেও সমর্থকদের ভোরের ঘুম নষ্ট করে খেলা দেখতে বসার কষ্ট প্রথম সেশনেই উসুল করে দেন সৌম্য-মাহমুদউল্লাহ। বিশেষ করে সৌম্য। প্রথম সেশনে ১৩৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। আগের দিন ৩৯ রানে অপরাজিত থাকা সৌম্য আজ প্রথম সেশনে একাই যোগ করেন ৮৪ রান। উইকেটের চার পাশে দুর্দান্ত সব স্ট্রোক খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই বাঁহাতি।
সেটিও আবার রেকর্ডছোঁয়া সেঞ্চুরি। ৯৪ বলে সেঞ্চুরির মুখ দেখেন সৌম্য। বাংলাদেশের হয়ে এটি দ্রুততম সেঞ্চুরির যুগ্ম রেকর্ড। নয় বছর আগের সেই লর্ডস টেস্টে তামিমের গড়া বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে (৯৪) ভাগ বসালেন সৌম্য। সেটিও এল এমন এক সময়ে, যখন সৌম্য ভীষণ রানখরায়। চারপাশে চলছে সমালোচনা। এই ম্যাচের আগে টেস্টে সৌম্য সবশেষ বড় রানের মুখ দেখেছেন দুই বছর আগে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৬১ রান করার পর টানা ১১ ইনিংসে ধারাবাহিক ব্যর্থ হয়েছেন টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। শুধু তাই নয়, এই টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস সহ প্রস্তুতি ম্যাচ, ওয়ানডে সিরিজ আর বিপিএল হিসেবে নিলে সবশেষ ১০ ইনিংসে তাঁর কোনো ফিফটি ছিল না।
সেই সৌম্য আজ প্রস্ফুটিত হলেন ভীষণ চাপের মুহূর্তে। ইনিংস ব্যবধানে হারের চোখরাঙানি তিনি এড়াতে পারেননি। কিন্তু এত দিন আস্থা রাখার প্রতিদানটা দিলেন ভালোভাবেই। কাল সৌম্য যখন ব্যাট করতে নামলেন, ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে বাংলাদেশ তখনো ৩৭১ রানের দূরত্বে। এখান থেকে ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে শেষ করেছিলেন তৃতীয় দিন। আজ চতুর্থ দিনে ফিফটি পেয়েছেন ৬০ বলে আর সেঞ্চুরি পেতে খেলেছেন আরও ৩৪ বল। সৌম্যর দুঃখ থাকবে দেড় শ রানের কোটা ছুঁতে পারেননি। আউট হয়েছেন ১৪৯ রানে। তবে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের স্কোর ঠিক তুলে নিয়েছেন। তবে আরও কিছুক্ষণ উইকেটে না থাকার আক্ষেপ থাকবে সৌম্যর। শেষ সেশন পর্যন্ত থাকলে বাংলাদেশ হয়তো ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতেও পারত, কে জানে!