রিয়ালের নাটুকে জয়
>চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে আয়াক্সের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগের ম্যাচটিতে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একটি করে গোল করেন করিম বেনজেমা ও মার্কো অ্যাসেনসিও। আয়াক্সের হয়ে গোলটি করেন জিয়েখ।
প্রথমার্ধে ভিনিসিউস একের পর এক বলের জোগান দিয়েছেন। বেনজেমা-বেলরা একটিও কাজে লাগাতে পারেননি। গ্যারেথ বেল বেশ কিছু শট লক্ষ্যে রাখতে পারলেও গোলের দেখা পাননি। প্রথম ২৫ মিনিটে আয়াক্সের নেওয়া ৪টি শটের সবগুলোই ছিল বেপথু। আর রিয়ালের নেওয়া ৩টি শটই পরীক্ষায় ফেলেছে আয়াক্সের গোলরক্ষক ওনানাকে। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দুই দলই গোলের দেখা পায় দ্বিতীয়ার্ধে। নিজেদের মাঠে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে সমতায় ফিরলেও শেষতক ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় আয়াক্স।
রিয়ালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৯৯৫ সালে শেষবার জয় পেয়েছিল আয়াক্স। রিয়ালের দুর্গ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি স্বাগতিকেরা হেরেছিল ২-০ গোলের ব্যবধানে। আজ শুরু থেকে নিজেদের গোলপোস্ট অক্ষত রাখতে পারলেও শেষ পর্যন্ত বেনজেমার গোলে এগিয়ে যায় সোলারির শিষ্যরা। ৬০তম মিনিটে ফরাসি এই তারকার গোলের আগে গোল পেয়েছিল আয়াক্স। অবশ্য এর আগে ৩৭তম মিনিটে টাগলিয়াফিকোর হেডে বোকা বনে যান থিবো কোর্তোয়া। ভিএআর-এর সাহায্য নিয়ে গোলটি বাতিল করেন রেফারি। স্বাগতিকদের গোলটি অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয়। সেখানেই স্বপ্নভঙ্গ হয় স্বাগতিকদের। এর আগের মিনিটেই জিয়েখের শট দুর্দান্তভাবে রুখে দেন কোর্তোয়া; বেঁচে যায় রিয়াল।
ম্যাচের ১৬ ও ৩১তম মিনিটে দুইবার বেলের শট আটকে দেন আয়াক্সের গোলরক্ষক ওনানা। ৬০তম মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়রের বাড়ানো বল জালে জড়ান করিম বেনজেমা। সমতায় ফিরতে খুব বেশি দেরি করেনি আয়াক্স। ৭৫তম মিনিটে জিয়েখের গোলে সমতায় ফিরলেও বেনজেমার বদলি হিসেবে নামা মার্কো অ্যাসেনসিওর গোলে জয় পায় অতিথিরা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ৮৭তম মিনিটে ডেনিয়েল কার্বাহালের বাড়ানো বলে ঠিকানা লিখে দেন অ্যাসেনসিও।
ম্যাচের শেষ মিনিটে এসে হলুদ কার্ড দেখে রিয়ালের হয়ে নিজের ৬০০তম ম্যাচটি কলঙ্কিত করলেন রামোস। পরপর দুই ম্যাচ হলুদ কার্ড দেখায় পরের ম্যাচটি খেলাই হচ্ছে না রিয়ালের এই ডিফেন্ডারের।