গেইলের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছেন মিঠুন!
>মোহাম্মদ মিঠুন; ব্যাটিংয়ে নামছেন ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়াস, অ্যালেক্স হেলস ও রাইলি রুশোদের পর। কেমন অভিজ্ঞতা হচ্ছে তাঁর?
যে দলে ক্রিস গেইল, অ্যালেক্স হেলস, এবি ডি ভিলিয়ার্স আর রাইলি রুশোর মতো ব্যাটসম্যানরা আছেন, সে দলের বাকিদের করণীয়টা আসলে কি? যেদিন এই তারকারা কেউই পারবেন না, বাকি আর কারও কিছু করারও থাকে না। ফলে এমন সতীর্থদের সঙ্গে খেলাটা যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্য দুদিক দিয়েই চাপ। তারা ভালো করলেও ঝামেলা, খারাপ করলে আরও বেশি ঝামেলা। রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বারবার বলছেন, এমন টপ অর্ডারটা নিয়ে খেলা মানে নির্দিষ্ট দিনে একসঙ্গে এঁদের সবাই ব্যর্থ হওয়া মানে পুরো ব্যাটিং–অর্ডারের ব্যর্থতা।
এই চাপ সামলে খেলতে কেমন লাগছে? মোহাম্মদ মিঠুন অবশ্য মনে করেন না, তাঁর ভূমিকা গৌণ হয়ে গেছে। বরং নিজের ভূমিকা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে বলে ভাবছেন তিনি, ‘আমি যে জায়গায় ব্যাটিংয়ে নামছি তখন হয়তো ইনিংসের ৪-৫ ওভার থাকছে। এই জায়গায় স্ট্রাইকরেটটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ তবে ব্যক্তিগত পারফর্মের বিচারে ঝুঁকি যে থাকছে, সেটা মানছেন, ‘বেশি বল খেলার সুযোগ না পেলে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। দিন শেষে সবাই দেখে কে পঞ্চাশ করেছে কিংবা কে সত্তর।’
এ নিয়ে আফসোস করে তো লাভ নেই। মিঠুন নিজের কাজটা ঠিকমতো করতে পারলেই খুশি, ‘আমি যে জায়গায় ব্যাটিংয়ে নামি, সেখানে স্ট্রাইকরেটটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওখান থেকে আমি পঞ্চাশ করতে পারব না; কিন্তু ওখান থেকে যদি আমি ২০০ স্ট্রাইকরেটে রান করতে পারি সেটিই আমার দলের কাজে দেবে।’
রংপুরের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এবারের বিপিএলে সবচেয়ে ভালো স্ট্রাইকরেট ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলসের—১৭৮.০৭। সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীও রংপুরের ব্যাটসম্যান, দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো। তাঁর স্ট্রাইকরেট ১৫৫.০৬। এবি ডি ভিলিয়ার্সের স্ট্রাইকরেট ১৫৮.৩৩। এঁদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যাওয়া বোকামি। তবে তার চেয়ে বেশি সুযোগ পেয়েও গেইল সুবিধা করতে পারছেন না। গেইল (১১৫.৬৬) আর মিঠুনের (১১৫.৬৮) স্ট্রাইকরেট প্রায় একই। এত নিচে নেমেও মিঠুন ৯ ম্যাচ খেলে খুব একটা মন্দ করেননি। মোট রান ১৭৭। গড় ২২.১২। একটা ফিফটি পাননি মাত্র ১ রানের জন্য। মন্দ কী!