স্মিথের অধিনায়কত্বে মুগ্ধ আবু হায়দার
>মাশরাফি জাদুতে গতকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে ৯ উইকেটে বিধ্বস্ত করেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। হারা ম্যাচেও অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্ব মুগ্ধ করেছে কুমিল্লার পেসার আবু হায়দার।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্যারিয়ার-সেরা বোলিংয়ে গতকাল লজ্জায় ডুবেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। মাত্র ৬৩ রানে অলআউট হওয়া কুমিল্লার স্কোর রংপুর টপকে গেছে অনায়াসেই। ব্যাটিং-বিপর্যয়ের এই ম্যাচেও বেশ কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন কুমিল্লার পেসার আবু হায়দার রনি। নতুন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্ব মুগ্ধ করেছে তাঁকে।
দলের রান কম, এই পর্যায়ে অধিকাংশ অধিনায়কই রক্ষণাত্মক থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু রংপুরের সামনে মাত্র ৬৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলেও কুমিল্লার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের মধ্যে কোনো রক্ষণ-টক্ষণের ধার ধারেননি, ‘এটা একটি ইতিবাচক দিক। আমি ওর অধিনায়কত্বে একটা জিনিস দেখলাম। আমরা ৬৩ রান করেছি কিন্তু সে কখনই রক্ষণাত্মক ছিল না। সব সময় আক্রমণাত্মক ছিল। সব সময় একটা কথাই বলেছে, নতুন বলে আমি যদি সুইং করিয়ে আউট করতে পারি তাহলে তা দলের জন্যই ভালো। এটাই আমাকে বারবার বলছিল।’
স্মিথের কথায় যে একটু হলেও লাভ হয়েছে, ম্যাচের স্কোরকার্ডেই সেটা বোঝা যায়। ম্যাচ নয় উইকেটে হারলেও রংপুরের সবচেয়ে বড় ব্যাটিং তারকা ক্রিস গেইলকে চুপ রাখতে পেরেছেন কুমিল্লার বোলাররা। আবু হায়দারের বলেই উইকেটরক্ষক এনামুল হক হাতে ক্যাচ দিয়ে মাত্র এক রান করে গ্যালারিতে ফিরেছেন এই বিধ্বংসী উইন্ডিজ ওপেনার। কিন্তু পরে রাইলি রুশো আর মেহেদি মারুফের সাবধানী ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যচ্যুত হয়নি রংপুর।
তামিম, এভিন লুইস, স্মিথ, ইমরুল, আফ্রিদি, মালিক সর্বস্ব কুমিল্লার ব্যাটিং লাইনআপ গোটা টুর্নামেন্টেরই অন্যতম সেরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা মুখ থুবড়ে পড়লেন কাল। দোষ কি তবে উইকেটের? মানছেন না আবু হায়দার, ‘উইকেটের দোষ দিয়ে আসলে লাভ নেই। আমরা ব্যাটসম্যানরা বাজে ভাবে আউট হয়েছি। আমি আগেই বলেছি মাশরাফি ভাই ভালো বোলিং করেছেন। আমরা ব্যাটসম্যানরা যদি আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারতাম তাহলে ১৩০ থেকে ১২০ হলেও এখানে চ্যালেঞ্জিং হতো। ওদের ৬৪ তাড়া করতে গিয়ে ১০ ওভারের (আসলে ১২ ওভার) মতো লেগেছে, আমরা যদি ১২০-১৩০ করতে পারতাম তাহলে খুব চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ হতো।’
কুমিল্লাকে হারানোর পুরো কৃতিত্বই আবু হায়দার দিচ্ছেন মাশরাফিকে, ‘অবশ্যই মাশরাফি ভাইকে কৃতিত্ব দিতে হবে। তিনি অনেক ভালো বোলিং করেছেন। চমৎকার বোলিং করেছেন। আর আমি বলব আমাদের একটি খারাপ দিন গেছে। তাই হয়তো আমরা জিততে পারিনি। আমরা যদি এভাবে চিন্তা করি তাহলে হবে না। প্রফেশনাল ক্রিকেটে এভাবে চিন্তা করলে হবে না। সব ম্যাচেই আমাদের ভালো খেলতে হবে। এর মধ্যে খারাপ দিন ভালো দিন আছে। আজকে খারাপ গেছে, হয়তো পরের ম্যাচ জিতে আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’
কুমিল্লার পরবর্তী ম্যাচ রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে, আগামী শুক্রবার। আবু হায়দারের কথামতো তামিম-স্মিথরা আদৌ ঘুরে দাঁড়াতে পারেন কি পারেন না, সেটা সেদিনই দেখা যাবে।