বাংলাদেশের বড় জয়ের নতুন রেকর্ড
কাল শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানে হারানো বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এ নিয়ে ১২ বার ১০০ রান কিংবা এর বেশি ব্যবধানে প্রতিপক্ষকে হারাল বাংলাদেশ। দলীয় অর্জনের পাশাপাশি বেশ কিছু ব্যক্তিগত রেকর্ড ও পরিসংখ্যানে নাম লিখিয়েছেন মুশফিক। সেসবই দেখে নিন
বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন দিন খুব বেশি আসেনি। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ গতকাল তার ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ম্যাচগুলোর একটি খেলল। আর এই ম্যাচে রানের ব্যবধানে জয়ের নতুন রেকর্ডও গড়ল বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে সবচেয়ে বড় জয় এখন এটিই (১৩৭ রানের জয়)। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৩ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়েকে ১২১ রানে হারানো।
১০০ কিংবা এর বেশি রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ এ নিয়ে ১২টি জয় পেল। দেশ ও দেশের বাইরে মিলিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এ বছরই শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কাকে ১৬৩ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
ব্যবধান | প্রতিপক্ষ | ভেন্যু | সাল |
১৬৩ রান | শ্রীলঙ্কা | ঢাকা | ২০১৮ |
১৬০ রান | ও. ইন্ডিজ | খুলনা | ২০১২ |
১৪৬ রান | স্কটল্যান্ড | ঢাকা | ২০০৬ |
১৪৫ রান | জিম্বাবুয়ে | ঢাকা | ২০১৫ |
১৪১ রান | আফগানিস্তান | ঢাকা | ২০১৬ |
১৩৭ রান | শ্রীলঙ্কা | দুবাই | ২০১৮ |
১৩১ রান | কেনিয়া | বগুড়া | ২০০৬ |
১২৪ রান | জিম্বাবুয়ে | ঢাকা | ২০১৪ |
১২১ রান | জিম্বাবুয়ে | বুলাওয়ে | ২০১৩ |
১১৬ রান | হংকং | কলম্বো | ২০০৪ |
১০৫ রান | আফগানিস্তান | ক্যানবেরা | ২০১৫ |
১০১ রান | জিম্বাবুয়ে | জয়পুর | ২০০৬ |
কালকের ম্যাচে ব্যক্তিগত অর্জনের খাতা ভরিয়ে নিয়েছেন মুশফিক। প্রথম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলাটা তাঁর জন্য সুযোগ হয়ে এসেছিল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নেমে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে গেছেন মুশফিকুর রহিম। তাতেই ওয়ানডেতে তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংসের (১৪৪ রান) রেকর্ডটা নতুন করে লেখালেন। আগের সর্বোচ্চ ছিল ১১৭, ২০১৪ এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে। মুশফিকের এই ইনিংস এখন এশিয়া কাপে বাংলাদেশে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ১১৭-ও ছিল তাঁর। ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস এটি, আগের সর্বোচ্চ ছিল তামিমের (১২৭)। তবে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ইনিংসটা তামিমের থেকে গেল। যেকোনো দলের বিপক্ষে ওয়ানডেতে কাল মুশফিক বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেললেন।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ | ||||
১৫৪ | তামিম ইকবাল | জিম্বাবুয়ে | বুলাওয়ে | ২০০৯ |
১৪৪ | মুশফিকুর রহিম | শ্রীলঙ্কা | দুবাই | ২০১৮ |
১৩৪* | সাকিব আল হাসান | কানাডা | অ্যান্টিগা | ২০০৭ |
১৩২ | তামিম ইকবাল | পাকিস্তান | মিরপুর | ২০১৫ |
১৩০* | তামিম ইকবাল | উইন্ডিজ | গায়ানা | ২০১৮ |
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের পঞ্চম সেঞ্চুরি, মুশফিকের দ্বিতীয়। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে এশিয়া কাপে একাধিক সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন মুশফিক।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ৫ সেঞ্চুরি | ||||
ব্যাটসম্যান | রান | প্রতিপক্ষ | ভেন্যু | সাল |
মোহাম্মদ আশরাফুল | ১০৯ | আরব আমিরাত | লাহোর | ২০০৮ |
অলক কাপালি | ১১৫ | ভারত | করাচি | ২০০৮ |
মুশফিকুর রহিম | ১১৭ | ভারত | ফতুল্লা | ২০১৪ |
এনামুল হক | ১০০ | পাকিস্তান | মিরপুর | ২০১৪ |
মুশফিকুর রহিম | ১৪৪ | শ্রীলঙ্কা | দুবাই | ২০১৮ |
মুশফিকের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তাঁর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি শুধু তামিম (১১) ও সাকিবের (৭)। বাংলাদেশের মোট রানের শতকরা ৫৫.১৭ ভাগই মুশফিকের। বাংলাদেশের রেকর্ড এটা। পেছনে পড়লেন তামিম। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলের ২২৮ রানের ১২৫-ই ছিল তামিমের (৫৪.৮২%)
আরও পড়ুন...