২০২৫ সালে আইপিএল–পিএসএল সূচির সংঘাত
পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) সাধারণত বছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হয়। আইপিএল অনুষ্ঠিত হয় মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে।
কিন্তু ২০২৫ সালে এ দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি লিগ একই সময়ে মাঠে দেখা যেতে পারে। এর কারণ মূলত ২০২৪-২৫ মৌসুমে পাকিস্তান ক্রিকেটের ঠাসা সূচি।
পিএসএল অনুষ্ঠিত হয় সাধারণত জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারিতে। আর আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি (এফটিপি) অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
১৯৯৬ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে। নিরাপত্তাজনিত কারণে আগের তিনটি ভবিষ্যৎ সফরসূচিতে (এফটিপি) আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে রাখা হয়নি। এবারের এফটিপিতে সে সুযোগ পেয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সফলভাবে আয়োজন করতে চায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাই বছরের শুরুর দিকের টুর্নামেন্ট পিএসএল সরিয়ে ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই পিসিবির সামনে।
মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে কোনো এক সুবিধাজনক সময়ে পিএসএল আয়োজন করতে চায় পিসিবি। আর মার্চ থেকে মে—এ সময়ে অনুষ্ঠিত হয় আইপিএল।
গত তিন বছরে নিরাপত্তা–সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে পাকিস্তানে সফর করেছে বেশ কিছু শীর্ষ সারির দল। আগামী এফটিপি অনুযায়ী, শীর্ষ দলগুলোর পাকিস্তান সফর আরও বাড়বে। এ সময় পাকিস্তান ঘরের মাঠে ১৩ টেস্ট, ২৬ ওয়ানডে ও ২৭টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। এর সঙ্গে দেশের বাইরে বাবর–রিজওয়ানদের সফর তো আছেই।
এমন ব্যস্ত সূচির কারণে কেবল ২০২৫ সালে পিএসএলের সূচিই সরে যাচ্ছে না, ২০২৬ সালেও নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে না এ টুর্নামেন্ট। ২০২৭ সাল থেকে এখনকার নির্ধারিত সময়ে ফিরতে পারে পিএসএল।
পাকিস্তানের ঠাসা সূচি নিয়ে পিসিবির প্রধান নির্বাহী ফয়সাল হাসনাইন বলেছেন, ‘এফটিপি ২০২৩-২০২৭ চক্রে পাকিস্তানের ঠাসা সূচি ঠিক করতে আমরা খেলার মান ও খেলোয়াড়দের ম্যাচ খেলার চাপ সামলানোকে গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা তিন সংস্করণের মধ্যে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করছি, যেন সব সংস্করণ অর্থবহভাবে পাশাপাশি চলতে পারে। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশের মতো দল পাকিস্তানে সফর করবে, এটা জেনে আমি নিশ্চিত আমাদের সমর্থকেরা বেশ খুশি হবে।’