সালাহকে ছুঁয়ে ফেললেন হলান্ড, আর্সেনালের পিছু ছুটছে সিটি
ম্যানচেস্টার সিটি ৩: ১ লেস্টার সিটি
পয়েন্ট তালিকার শুরু আর শেষের দিক থেকে দুইয়ে থাকা দলের লড়াই। প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটি আছে দুই নম্বরে, অবনমন অঞ্চলে থাকা লেস্টার সিটি ১৯ নম্বরে। অবস্থানের ফারাক অনেক হলেও ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে লেস্টারকে নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন পেপ গার্দিওলা। বার্তাটা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পচা শামুকে পা কাটার ঘটনা প্রায়ই ঘটে বলে নয়, বরং শিরোপার দৌড়ে আর্সেনালকে অস্বস্তিতে রাখতে।
ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে লেস্টারকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়ে গার্দিওলার চাওয়ামতো কাজটা ভালোভাবেই সারলেন তাঁর শিষ্যরা। প্রথমার্ধেই ৩ গোলে এগিয়ে যায় সিটি। বিরতির পর এক গোল শোধ করে শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছে অতিথিরা। একপেশে জয়ে আর্সেনালের সঙ্গে ব্যবধান তিনে নামিয়ে আনল সিটি। ৩০ ম্যাচে গানারদের পয়েন্ট ৭৩, সমান ম্যাচে গার্দিওলার দলের ৭০।
গোল, রেকর্ড আর আর্লিং হলান্ড যেন একার্থবোধক শব্দ হয়ে উঠেছে। ছেড়ে রাখা পানির ট্যাপের মতো অবিরাম ধারায় গোল করে চলেছেন এই স্ট্রাইকার। আজও জাল কাঁপিয়েছেন দুবার। তাতে দলপ্রতি ৩৮ ম্যাচের প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডে মোহাম্মদ সালাহকে ছুঁয়ে ফেলেছেন হলান্ড। ২০১৭–১৮ মৌসুমে ৩২ গোল করেছিলেন সালাহ। নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার ৮ ম্যাচ বাকি থাকতেই তাঁর পাশে বসলেন। মজার ব্যাপার হলো, সালাহ রেকর্ডটা করেছিলেন লিভারপুলের হয়ে নিজের অভিষেক মৌসুমে। ম্যান সিটির হলান্ডও ঠিক তাই!
ম্যাচের ৫ মিনিটে কর্নার থেকে রদ্রির হেডে পাওয়া বলে সিটিকে এগিয়ে দেন জন স্টোন্স। ৮ মিনিট পরেই পেনাল্টি আদায় করে নেন জ্যাক গ্রিলিশ। তাঁর ক্রসে উইলফ্রেড এনডিডি বলে হাত ছোঁয়ালে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে ব্যবধান ২–০ করেন হলান্ড।
সালাহর রেকর্ডে ভাগ বসাতে এরপর মাত্র ১২ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে হলান্ডকে। সেই এনডিডিকেই বোকা বানিয়ে চিতার বেগে এগিয়ে গিয়ে হলান্ডকে পাস বাড়ান কেভিন ডি ব্রুইনা। দুর্দান্ত আক্রমণকে সমাপ্তির ছোঁয়া দিতে ভুল করেননি ২২ বছর বয়সী তারকা।
বিরতির পর হ্যাটট্রিক পূরণের সঙ্গে সালাহকে ছাড়িয়ে যাওয়ার খিদে নিয়েই নামতে চেয়েছিলেন হলান্ড। কিন্তু গার্দিওলা সেটা হতে দিলে তো! পরের ম্যাচগুলোর জন্য শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে দলের সেরা তারকাকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠেই নামাননি স্প্যানিশ কোচ। হলান্ডের বদলি হিসেবে খেলেন আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতা হুলিয়ান আলভারেজ। গার্দিওলা একে–একে তুলে নেন স্টোন্স, রদ্রি, গ্রিলিশ, ডি ব্রুইনাকেও।
অনেকটা না চাইতেই হলান্ড–ভীতি থেকে রেহাই পেয়ে নিজেদের কিছুটা গুছিয়ে নেয় লেস্টার। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যান সিটির মধ্যেও দেখা গেছে গা ছাড়া ভাব। সেই সুযোগে ৭৫ মিনিটে লেস্টারের হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোল করেন কেলেচি ইহেয়ানাচো।