জন্মদিনে তামিমের ১৫ হাজার
সময়টা যে খুব ভালো যাচ্ছে, তা বলা যাবে না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেও আউট হয়ে যান ৯ বলে মাত্র ৩ রান করে। তবে ফর্মহীন এই সময়েই একটা বড় অর্জন ছুঁয়ে ফেললেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সিলেটে আজ আইরিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান পূরণ করেছেন তিনি।
ব্যক্তিগত ইনিংসটা অবশ্য এ ম্যাচেও বড় হয়নি তামিমের। ফর্মে ফেরার আভাস দিয়েও মাত্র ২৩ রান করেই হয়ে যান রানআউট। তবে এই ২৩ রানের পথেই তিনি ছুঁয়ে ফেলেছেন ১৫ হাজার রানের মাইলফলক। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজকের ম্যাচের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান ছুঁতে তামিমের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। ইনিংসের নবম ওভারে মার্ক এডেয়ারের বলে দুই রান নিয়ে সেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন বাঁহাতি ওপেনার তামিম।
১৫ হাজার রান করতে তিন সংস্করণ মিলিয়ে তামিম খেলেছেন ৩৮৩টি ম্যাচ। মাইলফলকটা ছুঁয়েছেন ৪৪৪তম ইনিংসে এসে। আজ ২০ মার্চ আবার তামিমের জন্মদিনও। ৩৫–এ পা দেওয়ার দিনে বড় এক অর্জনই পেয়ে গেলেন তিনি। তবে আনন্দটা বেশি উপভোগ্য হতো নিজের ইনিংসটি আরও বড় করতে পারলে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ১৫ হাজার রানের সবই অবশ্য দেশের হয়ে করেননি তামিম। ৫৭ রান আছে বিশ্ব একাদশের হয়ে। বিশ্ব একাদশের হয়ে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছেন ৪টি ম্যাচ। বাংলাদেশের হয়ে তাঁর রান ১৪৯৫২, যেটা কিনা বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান এখনো ১৪ হাজার রান করতে পারেননি। ১৩ হাজারের ওপর রান আছে শুধু দুজনের—সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি দুই সংস্করণেই তামিমের অভিষেক ২০০৭ সালে। টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ২০০৮–এ। এখন পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছেন তিনি ২৩৬টি, টি–টোয়েন্টি ৭৮টি ও টেস্ট খেলেছেন ৬৯টি। ২০২২ সালে অবশ্য বিদায় জানিয়েছেন টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটকে। ওয়ানডেতে তামিমের রান এখন ৮১৬৯, টি–টোয়েন্টিতে ১৭৫৮ ও টেস্টে ৫০৮২। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব মিলিয়ে সেঞ্চুরি ২৪টি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দলগুলোর মধ্যে তামিমের সর্বোচ্চ রান (২৬০১) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ২৪১৯। এ ছাড় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাঁর রান ১৮২৬, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৪৮, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩৪৭, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬২৯, ভারতের বিপক্ষে ১০১৮ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৫০।