এবার ভারতের ডিআরএস নিয়ে সন্দেহ হাসান রাজার
আট ম্যাচের আটটিতে জিতে বিশ্বকাপে ভারত রীতিমতো উড়ছে। প্রতিটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে তাদের সামনে। গতকাল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ২৪৩ রানে জিতেছে ভারত। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শুবমান গিল, শ্রেয়াস আইয়ার, মোহাম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরারা আছেন দুর্দান্ত ছন্দে।
এই ভারত নিজেদের ইতিহাসের সেরা দল কি না, এমন আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখনই ভারতের এই জয়যাত্রা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার হাসান রাজা। পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে হাসান রাজার মন্তব্য রীতিমতো বিস্ফোরক। ভারতের জয়যাত্রা নিয়ে কয়েক দিন আগেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন হাসান। ভারতের ম্যাচে, বিশেষ করে তাদের বোলিংয়ের সময় যে বল ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো নাকি বিশেষভাবে তৈরি। এবার তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ডিআরএস নিয়ে।
হাসান রাজার মতে, ভারত ডিআরএস নিয়ে কারচুপির আশ্রয় নিয়েছে। পাকিস্তানের এবিএন নিউজে বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আলোচনায় তিনি বলেন, ‘আজ তো জাদেজাও পাঁচ উইকেট নিয়ে নিল। এটা তার ক্যারিয়ার-সেরা। কিন্তু ডিআরএস প্রযুক্তি যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ফন ডার ডুসেনকে আউট দিল, সেটাকে কী বলবেন! বাঁহাতি স্পিনারের বল টার্ন নেওয়ার পর যেকোনো জায়গায় যেতে পারে। লেগ স্টাম্পে বল পিচ করার পর সেই বল কীভাবে মিডল স্টাম্পের দিকে যায়? ইমপ্যাক্ট ইন লাইন ছিল। আর বল লেগ স্টাম্পে যাচ্ছিল।’
হাসান রাজার দাবি ডিআরএসে কারচুপি হচ্ছে, ‘আমি মনে করি, এসব বিষয় আরও খতিয়ে দেখা হোক। ডিআরএস নিয়ে কারচুপি হচ্ছে। বিশ্বকাপে অনেক ডিআরএস সিদ্ধান্ত বিতর্কিত। পাকিস্তানের বিপক্ষে গেছে একটি ডিআরএস সিদ্ধান্ত।’
১৯৯৬ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল হাসান রাজার, যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট অভিষেকের রেকর্ড। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলেরও অধিনায়ক ছিলেন তিনি। যদিও সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত হয়নি। ৭ টেস্ট আর ১৬ ওয়ানডেতেই শেষ হয়েছে জাতীয় দলের ক্যারিয়ার। ২৩২ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪৪.৭০ গড়ে তাঁর রান ১৩ হাজার ৯৪৯। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৬টি শতরান তাঁর। অর্ধশতক ৬৩টি।