জিম্বাবুয়ে সফরে ডাক পেয়ে অবাক ইবাদতও
ইবাদত হোসেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকটা সিরিজেই। ৫০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকটা অবশ্য হয়নি এখনো। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে দলে থাকলেও খেলা হয়নি, গায়ানায় স্পিন–সহায়ক কন্ডিশনে তো বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে নেমেছিল মাত্র একজন পেসার নিয়েই। জিম্বাবুয়ে সফরে ‘প্রথমে যাওয়ার কথা থাকলেও’ ইবাদতের যাওয়া হয়নি, এইচপি দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে খেলার জন্য তিনি ব্যস্ত ছিলেন খুলনায়।
গতকাল রাতে হুট করেই জিম্বাবুয়ে সফরে ডাক পাওয়ার ফোনকল যায় ইবাদতের কাছে। এমনভাবে যেতে হচ্ছে বলে একটু অবাকই হয়েছেন এই পেসার। তবে যাওয়ার আগে আত্মবিশ্বাসের কথাই শুনিয়ে গেলেন তিনি।
জিম্বাবুয়েতে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে চোটে পড়েন নুরুল হাসান। সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলা হয়নি সিরিজে বাংলাদেশের অধিনায়কের। তাঁর বদলি হিসেবে তখন কাউকে নেওয়া হয়নি। গতকাল প্রথম ওয়ানডেতে চোট পেয়ে লিটন দাস ছিটকে যাওয়ার পর এবার ডেকে পাঠানো হয়েছে দুজনকে। এ দুজনের বদলি হিসেবে ইবাদতের সঙ্গে যাচ্ছেন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাইম। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগেই দুজন হারারে পৌঁছে যাবেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিসিবি।
গতকাল খুলনায় থাকা ইবাদত আজ ঢাকায় এসেছেন, কাল পৌঁছাবেন হারারে। এভাবে হঠাৎ ডাক পাওয়ার পর ঢাকায় ফিরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমি বাংলা টাইগার্সের হয়ে এইচপির বিপক্ষে খেলার জন্য খুলনায় ছিলাম। ওখানে সাদা বলের জন্য গিয়েছিলাম। তাই সাদা বলের অনুশীলনটাই করে এসেছি। গতকাল রাতে কল আসে—জাতীয় দলে যোগ দিতে হবে। শুনে খুব খুশি হয়েছি। প্রথমে যাওয়ার কথা ছিল, যাওয়া হয়নি, মাঝখানে যাচ্ছি। একটু অবাক করার মতো।’
সিরিজের আগে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে কথা হয়েছিল ইবাদতের। এবার হুট করে ডাক পেলেও প্রস্তুতই আছেন এ পেসার, ‘ইনশা আল্লাহ দেশের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। সুযোগ পেলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। আমি অনুশীলনের মধ্যে আছি। অনুশীলনের মধ্যে না থাকলে মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকতাম। তাই আত্মবিশ্বাস ভালো আছে।’
ইবাদত যখন যাচ্ছেন, দলের অবস্থা তখন খুব একটা সুবিধার নয়। ৯ বছরের বেশি সময় ও ১৯ ম্যাচ পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হেরেছে বাংলাদেশ, এর আগে প্রথমবারের মতো হারে টি-টোয়েন্টি সিরিজও। তবে দলকে নিয়েও আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন না ইবাদত, ‘ওয়ানডেতে দল হিসেবে আমরা খুবই ভালো। ২-১টা ম্যাচ খারাপ হলে আমরা দল হিসেবে খারাপ? আমরা দল হিসেবে ভালো। আমরা বাকি দুই ম্যাচ জিতলে সিরিজ তো আমাদেরই।’
এখন পর্যন্ত ১৭টি টেস্ট খেলে ফেললেও সাদা বলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি ইবাদতের। যাঁরা তিন সংস্করণেই খেলেন, তাঁদের জন্য চোটে পড়াটা খুব স্বাভাবিক বলেই মনে করেন তিনি, ‘চোট তো কারও হাতে নেই। যারা চোটে পড়েছে, তাদের দেখুন—লিটন টানা খেলছে—টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি। শরীফুলও তিন সংস্করণেই খেলছে। শরীরেরও তো মানিয়ে নেওয়ার একটা ব্যাপার আছে, বিশ্রামের ব্যাপার আছে। টানা তিন সংস্করণে খেললে চোটের প্রবণতা থাকে। তারপরও সবাই আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালোই মানিয়ে নেয়। কিছুদিন ধরে কোনো চোটের সমস্যা ছিল না। হুট করে হয়েছে, তিন সংস্করণের কারণে একটু সমস্যা থাকতেই পারে। আমার কাছে মনে হয় না এটার কারণে দলের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে।’