স্মিথের চাই প্রথম বলেই ছক্কা
সর্বশেষ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচ খেলে মোটে ৬৯ রান—এই দেখে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে স্টিভেন স্মিথের দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফেলেছিলেন কেউ কেউ।
তবে দলে তখন এবং কিছুদিন আগপর্যন্ত তাঁর ভূমিকাটাই অন্য রকম ছিল। মূলত হার্ড হিটাররা ব্যর্থ হলে দলকে উদ্ধার করার দায়িত্ব ছিল তাঁর, সে জন্য ‘মিস্টার ফিক্স–ইট’ বা অ্যাঙ্করের কাজটাই করেছেন বেশি।
তবে আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ে নিজের ভূমিকায় বদল আসতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্মিথ, ‘কয়েক বছর ধরে আমার দায়িত্ব ছিল মিস্টার ফিক্স–ইটের। তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজে এই দায়িত্ব থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।’
গত জুনে শ্রীলঙ্কা সফরে দুটি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন স্মিথ। একটিতে ৪ বলে ৫ রান করে আউট হয়ে গেলেও পরেরটিতে ২৭ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
পরিসংখ্যান বলছে, ছন্দে থাকলে টি–টোয়েন্টি সংস্করণের সঙ্গে মানানসই ব্যাটিংটা ভালোই করতে পারেন ৩৩ বছর বয়সী এই ডানহাতি।
এখন পর্যন্ত খেলা ৫৭ টি–টোয়েন্টি ম্যাচে যে চারবার পঞ্চাশ পার করেছেন, সব কটিতেই তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪০–এর ওপরে, ‘আমি মনে করি, স্বাধীনতা পেলে আমি ভালো খেলি। ম্যাচও আমি টেনে নিতে পারি।’
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, টি–টোয়েন্টিসুলভ ইনিংসের জন্য প্রথম বল থেকেই মেরে খেলাটা দরকার তাঁর, ‘আমি যদি প্রথম বলেই কাউকে ছয় হাঁকাতে পারি, তাহলে সহজেই হাতখুলে খেলতে পারব।’
দীর্ঘদিন তিন নম্বর পজিশনে খেললেও স্মিথ এখন চার নম্বরে ব্যাট করছেন। তিন নম্বরে ব্যাট করেন মিচেল মার্শ। তবে গোড়ালির চোটের কারণে তিনি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ জিম্বাবুয়ে ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে থাকবেন না। মার্শ না থাকলে স্মিথই ফিরবেন তিন নম্বর পজিশনে।
তবে এ নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না স্মিথ, ‘গত কিছুদিন মিচেল খুব ভালো ক্রিকেট খেলছিল। সে গত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিল, সামনের টুর্নামেন্টেও থাকবে। এখনকার অগ্রাধিকার হচ্ছে তাকে সঠিক সময়ে ফিরে পাওয়াটা।’
অস্ট্রেলিয়ার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে ২২ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।