নেপালের নতুন কোচ মনোজ প্রভাকর

২০০১ সালে মনোজ প্রভাকরএএফপি

নেপাল জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার মনোজ প্রভাকর। গত জুলাইয়ে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগ করা পুবুদু দসানায়েকের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। পরে শ্রীলঙ্কান-কানাডিয়ান দসানায়েকে কানাডা জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছেন।

নেপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫৯ বছর বয়সী প্রভাকর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নেপালে ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহ, তাদের মেধা ও স্কিল দেখার পর ক্রিকেট দলের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি আমি। আশা করি, তাদের শক্তিশালী একটি দল হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।’

আরও পড়ুন

প্রভাকরের সামনে কাজটা খুব একটা সহজও নয়। এখন আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের লিগ ২-এ খেলছে নেপাল। তবে ২০ ম্যাচ খেলার পর সাত দলের মধ্যে ছয়ে আছে তারা। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘এ’ বাছাইপর্বে গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থাকলেও সেমিফাইনালে হেরে বাদ পড়ে তারা।

নেপালের দায়িত্ব নেওয়ার আগে কোনো জাতীয় দলের বড় পদে প্রভাকর ছিলেন ২০১৬ সালে। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের বোলিং কোচ হয়েছিলেন, কাজ করেছিলেন ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। সেবার পরবর্তীতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিয়েছিল আফগানিস্তান।

আরও পড়ুন

প্রভাকর অবশ্য ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতই কাজ করেছেন। দিল্লি, রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশ দলকে কোচিং করিয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালে রঞ্জি ট্রফি জেতা দিল্লি দলের বোলিং কোচ ছিলেন। যদিও রঞ্জি ট্রফিতে কোচ হিসেবেও আলোচিত প্রভাকর। ২০১১-১২ মৌসুম শুরুর মাত্র দুদিন আগে খেলোয়াড় ও নির্বাচকদের সমালোচনা করে চাকরি হারাতে হয় তাঁকে। পরে ২০১৬ সালে উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব নেন।

কোচ প্রভাকরের মতো ক্রিকেটার প্রভাকরের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে বিতর্ক। ভারতের হয়ে ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ৩৯টি টেস্ট ও ১৩০টি ওয়ানডে খেলেছিলেন প্রভাকর। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ ওভারে ৪৭ রান দেওয়ার পর পরের ম্যাচে বাদ পড়েছিলেন। এরপর অবসরই নিয়ে নেন।

আরও পড়ুন

প্রভাকর এরপর নতুন করে আলোচনায় আসেন ম্যাচ ফিক্সিং বিতর্কে জড়িয়ে। ২০০০ সালের দিকে যখন ম্যাচ গড়াপেটার কাণ্ডে টালমাটাল ভারত ও বিশ্ব ক্রিকেট, তখন কপিল দেবের মতো ক্রিকেটারের নামেও ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ তোলেন তিনি। পরে অবশ্য ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে নিজেই নিষিদ্ধ হন। ক্রিকেটের বাইরে রাজনীতির ময়দানেও নামার চেষ্টা করেছিলেন প্রভাকর। ১৯৯৬ সালে লোকসভা নির্বাচনে হেরে যান প্রভাকর।