টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার প্রথম হ্যাটট্রিক আমিরাতের মেইয়াপ্পনের

হ্যাটট্রিকের পর মেইয়াপ্পনের উদ্‌যাপনছবি: এএফপি

শ্রীলঙ্কার ইনিংসে তখন ১৫তম ওভারের খেলা চলছে। ওভারটি করছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের লেগ স্পিনার কার্তিক মেইয়াপ্পন। তাঁর চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে দেখা গেল ‘ম্যাজিক’!

চতুর্থ বলে ফিরলেন ভানুকা রাজাপক্ষে। পরের বলে চারিত আসালঙ্কাকেও তুলে নেন মেইয়াপ্পন। হ্যাটট্রিকের সুযোগ! ওভারের শেষ বলে লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকেও তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিক করে ফেলেন মেইয়াপ্পন।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন ২২ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার। বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি (২০০৭), নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার (২০২১), দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (২০২১) ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা (২০২১) এর আগে হ্যাটট্রিক করেছেন।

মেইয়াপ্পনের হ্যাটট্রিকের তিনটি ডেলিভারিও ছিল দুর্দান্ত। রাজাপক্ষেকে আউট করেছেন ডিপ কাভারে ফিল্ডার রেখে বড় শট খেলার ফাঁদে ফেলে। একটু ঝুলিয়ে ছেড়েছিলেন বলটি, রাজাপক্ষেও কাভারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। সীমানা পার করতে পারেননি। বল গিয়ে সরাসরি জমা পড়ে আরব আমিরাতের ফিল্ডার কাশিফ দাউদের হাতে।

রাজাপক্ষে ৫ রান করে ফেরার পরের বলটি ছিল গুগলি। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আসালঙ্কা তা বুঝতেই পারেননি। ক্যাচ দেন উইকেটকিপার ভৃত্য অরবিন্দকে। ওভারের শেষ বলটিও ছিল গুগলি। বল উইকেটে বাঁক নিয়ে একটু উঠে শানাকার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্পিনার মেইয়াপ্পনের জন্ম চেন্নাইয়ে। ২০১২ সালে তাঁর পরিবার দুবাইয়ে স্থায়ী হয়। ছেলেদের বিশ্বকাপে (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) আইসিসির সহযোগী দেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের নজির গড়লেন মেইয়াপ্পন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ৩৯তম হ্যাটট্রিক।

মনে রাখার মতো বোলিং করলেন মেইয়াপ্পন
ছবি: এএফপি

আগে ব্যাটিংয়ে নামা ৮ উইকেটে ১৫২ রানে থেমেছে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ৬০ বলে ৭৪ রান করেন ওপেনার পাতুম নিশাঙ্কা। তিনে নামা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। টপ অর্ডারে প্রথম তিনজন ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। আরেক ওপেনার কুশল মেন্ডিস করেন ১৮ রান। ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আমিরাতের সেরা বোলার মেইয়াপ্পন। ২ উইকেট জহুর খানের।