সম্প্রচার শেষ ০৩ জুলাই ২০২২

উইন্ডিজ-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি

৩৫ রানে হেরে সিরিজে পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ

১৭: ০৭ , জুলাই ০৩

স্বাগত, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি!

১৩ ওভার—ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি স্থায়ী হয়েছে অতটুকুই। খেলা শুরু হতে দেরি হয়েছে, পরে সেটি নেমে এসেছে ১৬, ১৪, ১৩ ওভারে। তবে শেষ পর্যন্ত ফল আনা যায়নি।

ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে আজকের আবহাওয়া অবশ্য নির্ধারিত সময়ে শুরু হওয়ার মতোই। প্রথম ম্যাচ পেছনে ফেলে এখন সময় দ্বিতীয় ম্যাচের।

প্রথম আলোর লাইভ আপডেটে আপনাকে স্বাগত!

১৭: ০৭ , জুলাই ০৩

টস

আবার টসে জিতেছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। এবার ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

১৭: ১১ , জুলাই ০৩

বাংলাদেশ দলে দুই পরিবর্তন

বাংলাদেশ একাদশে আছে দুইটি পরিবর্তন। পিঠের সমস্যার কারণে খেলছেন না উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মুনিম শাহরিয়ার। দলে নেই বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদও। দলে এসেছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।

একাদশ

এনামুল হক, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।

১৭: ৩১ , জুলাই ০৩

ওয়েস্ট ইন্ডিজে একটি পরিবর্তন

মাংসপেশীর টানের কারণে নেই ডেভন থমাস। দলে এসেছেন কিমো পল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ

কাইল মায়ার্স, ব্রেন্ডন কিং, শামার ব্রুকস, নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), রোভম্যান পাওয়েল, কিমো পল, ওডিন স্মিথ, রোমারিও শেফার্ড, আকিল হোসেন, ওবেদ ম্যাকয়, হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র

১৭: ৩৩ , জুলাই ০৩

দ্বিতীয় ম্যাচের ফল নিয়ে আপনার মত জানান... 

১৭: ৩৬ , জুলাই ০৩

প্রথম ওভারে ১৪

প্রথম দুই বলে এসেছিল ১ রান। তবে এরপর কাইল মায়ার্স চড়াও হয়েছেন ইনিংসের প্রথম ওভার করতে আসা তাসকিন আহমেদের ওপর। কাভার দিয়ে চারের পর লং-অফ দিয়ে মেরেছেন ছয়। তাসকিনের করা প্রথম ওভারে এসেছে ১৪ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪/০, ১ ওভার শেষে

১৭: ৩৮ , জুলাই ০৩

মায়ার্সকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিলেন মেহেদী

দ্বিতীয় ওভারে অফ স্পিনার মেহেদী হাসানকে এনেছেন মাহমুদউল্লাহ। বাঁহাতি মায়ার্স প্রথম বলেই মেরেছিলেন চার। তবে এরপর তিন ডটের চাপে ফেলে মায়ার্সকে ফিরিয়েছেন মেহেদী। ফুল লেংথের বলটা হাঁটু গেড়ে টেনে মারতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন মায়ার্স, ৯ বলে ১৭ রান করে।

১৮ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

১৭: ৪২ , জুলাই ০৩

‘মেহেদী’ যখন মায়ার্সের ‘অভিশাপ’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ৪ বার আউট হয়েছেন কাইল মায়ার্স। কোনো বোলারের বলে সবচেয়ে বেশি আউট হয়েছেন মিরাজের বলেই। এবার মিরাজ নয়, তবে আরেক ‘মেহেদী’—মেহেদী হাসানের শিকার তিনি!

১৭: ৪৭ , জুলাই ০৩

দ্বিতীয় বলেই সাকিবের উইকেট

প্রথম বল ডট, দ্বিতীয় বলেই সফল সাকিব আল হাসান! স্লটে পেয়ে তুলে মারার চেষ্টা করেছিলেন শামার ব্রুকস, তবে খাড়া ওপরে উঠেছে সেটি। মাহমুদউল্লাহ ক্যাচ নিতে ভুল করেননি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ২৬ রানে।

চতুর্থ ওভারে চতুর্থ বোলার হিসেবে সাকিবকে এনেছেন মাহমুদউল্লাহ। আগের ওভারে এসেছিলেন মোস্তাফিজ, প্রথম ৪ বল ডট দিলেও শেষ বলে দুটি বাউন্ডারি দেন তিনি।

১৭: ৫৮ , জুলাই ০৩

পাওয়ারপ্লে-তে ৪৬/২

পঞ্চম ওভারে পঞ্চম বোলার হিসেবে শরীফুল ইসলামকে এনেছেন মাহমুদউল্লাহ। শরীফুলের শুরুটা অবশ্য মেহেদী বা সাকিবের মতো হয়নি, বরং হয়েছে তাসকিন-মোস্তাফিজের মতো। ব্রেন্ডন কিং মেরেছেন দুইটি চার, প্রথম ওভারে শরীফুল দিয়েছেন ১১ রান।

পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে মেহেদী এসেছেন, নিকোলাস পুরানের বিপক্ষে স্টাম্পিংয়ের আবেদন হলেও সফল হয়নি তা। প্রথম ৬ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে ৪৬ রান, ২ উইকেট হারিয়ে।

১৮: ০৪ , জুলাই ০৩

পুরানের প্রথম ছয়

৮ বলে ৮, এরপর ‘বুম’!

তাসকিন আহমেদের বলটা স্লটে পেয়ে আগেভাগেই পড়ে ফেলেছেন নিকোলাস পুরান, পাঠিয়েছেন স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে! উইন্ডিজ অধিনায়কের এটিই প্রথম ছক্কা। ওই ছক্কার পর অবশ্য তাসকিন ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, পরের ৪ বলে দিয়েছেন ৪ রান।

তবে চতুর্থ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর পুনর্গঠনের পথে স্বাগতিকদের নিয়ে যাচ্ছেন পুরান-কিং।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ ওভারে ৫৭/২

১৮: ১২ , জুলাই ০৩

লিটনের দারুণ ফিল্ডিং

মোস্তাফিজকে তুলে মেরেছিলেন ব্রেন্ডন কিং। বল যাচ্ছিল কাউ কর্নার দিয়ে। লং-অন থেকে ছুটে গিয়ে প্রথম ধরলেন লিটন। যখন দেখলেন ভারসাম্য রাখতে পারবেন না, বাউন্ডারি পার হওয়ার আগেই ছুড়ে দিলেন বলটা। দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে অন্তত ২ রান বাঁচিয়েছেন লিটন।

মোস্তাফিজের পরের বলেই অবশ্য দারুণ ড্রাইভে চার মেরেছেন কিং। পাওয়ারপ্লে-র পর এখন পর্যন্ত প্রতি ওভারেই এসেছে বাউন্ডারি। এ ৩ ওভারে উইন্ডিজ তুলেছে ২৯ রান।

১৮: ১৬ , জুলাই ০৩

ফিফটি জুটি

আরেকটি ওভার, আরেকটি বাউন্ডারি! এবার মেহেদীকে টেনে মিডউইকেট দিয়ে ছয় মেরেছেন কিং। উইন্ডসর পার্কের ব্যাটিং সহায়ক উইকেট উপভোগই করছেন কিং-পুরান।

২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পুরান ও কিংয়ের জুটি শুরু এরপর। দশম ওভারে সে জুটি ছুঁয়ে ফেলল অর্ধশতক।

ইনিংসের মাঝপথে উইন্ডিজের রান ৮৫ , ওই ২ উইকেট হারিয়েই।

১০ ওভারের মধ্যেই বোলিং শেষ করেছেন মেহেদী। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৩১ রান, নিয়েছেন কাইল মায়ার্সের উইকেট।

১৮: ৩০ , জুলাই ০৩

সাকিব মানেই ‘বাউন্ডারি-খরা’

এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে দুইটি ওভারে কোনো বাউন্ডারি হয়নি—চতুর্থ ও ১২তম ওভার। দুই ক্ষেত্রেই বোলারের নাম? সাকিব আল হাসান!

১২তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরেছেন, ফিরেই করলেন আরেকটি আঁটসাঁট ওভার। কিং বা পুরান—দুজনের কাউকেই শট খেলার মতো পর্যাপ্ত জায়গা দেননি। ফিরতি স্পেলের প্রথম ওভারে সাকিব দিয়েছেন ৬ রান। এ ওভারে আবার একটি নো-বলও করেছেন সাকিব, তবে ফ্রি-হিটেও আসেনি কোনো বাউন্ডারি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অবশ্য ছুঁয়ে ফেলেছে ১০০।

১৮: ৩৬ , জুলাই ০৩

‘মোসাদ্দেক উইথ দ্য গোল্ডেন আর্ম’

ইনিংসে তৃতীয় স্পিনার, ষষ্ঠ বোলার হিসেবে এসেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। এসেই দিয়েছেন ব্রেকথ্রু! করেছেন উইকেট-মেডেন ওভার!

প্রথমে সুইপ করতে গিয়ে মিস করেছিলেন নিকোলাস পুরান, তাঁর পা ছিল ক্রিজের বাইরেই। অবশ্য নুরুল স্টাম্প ভাঙার আগেই ব্যাট ফেরাতে পেরেছিলেন উইন্ডিজ অধিনায়ক।

তবে এক বল পরই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লু হয়েছেন তিনি, তবে অন-ফিল্ডের আউটের সিদ্ধান্ত রিভিউ করেন সঙ্গে সঙ্গেই। ব্যাটে লাগা ছাড়া পুরানের বাঁচার তেমন কোনো আশা ছিল না, ব্যাটে লাগেওনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ককে হারানোর সঙ্গে হারিয়েছে একটি রিভিউও। ৩০ বলে ৩৪ রান পুরানের, কিংয়ের সঙ্গে তাঁর জুটি ৭৬ রানের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩ ওভারে ১০০/৩

১৮: ৪১ , জুলাই ০৩

কিংয়ের ৫০

সামনে এসে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মেরেছিলেন, সেটিতে পেয়েছেন বাউন্ডারি। ইনিংসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব আল হাসানকে বাউন্ডারি মেরেছেন ব্রেন্ডন কিং, ম্যাচে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে পেয়েছেন অর্ধশতক। মাইলফলকে যেতে তাঁর লেগেছে ৩৬ বল। ২৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারে কিংয়ের এটি তৃতীয় ফিফটি।

অর্ধশতক পেয়েছেন ব্রেন্ডন কিং
এএফপি
১৮: ৫৩ , জুলাই ০৩

সাকিবের ওভারে ২৩ রান

কাউ কর্নার দিয়ে ছয়।

লং অন দিয়ে চার।

স্লগ সুইপে স্কয়ার দিয়ে ছয়।

টেনে লং অফের ওপর দিয়ে ছয়।

প্রথম দুই ওভারে কোনো বাউন্ডারি না দেওয়া সাকিব আল হাসানের ওপর চড়াও হয়েছেন রোভম্যান পাওয়েল। শেষ ২ বলে ১ রান দিয়েছেন সাকিব, তবে নিজের শেষ ওভারে গুণেছেন ২৩ রান। এতক্ষণ পর্যন্ত স্পিনে উইন্ডিজকে বেশ চাপে ফেললেও সাকিবের ওভারে আলগা হয়ে গেছে সেটি।

৪ ওভারে সাকিব দিলেন ৩৮ রান, নিয়েছেন ১ উইকেট।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬ ওভারে ১৪২/৩

১৯: ০০ , জুলাই ০৩

তাসকিনের ওভারে ২০

সাকিবের পর তাসকিনের ওপর চড়াও হয়েছেন পাওয়েল। দেখে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মিশনে নেমেছেন তিনি।

তাসকিনের প্রথম দুই বলেই মেরেছেন ছক্কা। দুই ছক্কার ঝড় সামলে তাসকিন অবশ্য মোটামুটি ফিরে এসেছিলেন, পরের ৩ বলে দিয়েছিলেন ৫ রান। তবে শেষ বলে আবার চার মেরেছেন পাওয়েল। ছুটছেন তিনি, ছুটছে উইন্ডিজ!

১৯: ০২ , জুলাই ০৩

কিংকে ফেরালেন শরীফুল, পাওয়েলের ফিফটি

একদিকে ঝড় তুলেছেন পাওয়েল, তবে অন্যদিকে ফিরলেন ব্রেন্ডন কিং।

বোলিংয়ে ফিরে তাঁকে ফিরিয়েছেন শরীফুল ইসলাম। টেনে মারতে গিয়ে লং-অফে সাকিবের হাতে ধরা পড়েছেন ৪৩ বলে ৫৭ রান করা কিং, যিনি নেমেছিলেন ইনিংস উদ্বোধন করতে।

কিং ফেরার পরের বলেই ফিফটি পূর্ণ করে ফেললেন রোভম্যান পাওয়েল। মাত্র ২০ বলেই ৫০ হয়ে গেল তাঁর।

১৯: ০৬ , জুলাই ০৩

১৮তম ওভারে ৩ রান

শুধু ব্রেন্ডন কিংয়ের উইকেট নয়, রান খরচের দিক দিয়েও দারুণ এক ওভার করলেন শরীফুল। ১৮তম ওভারে ৩ রান—পাওয়েলের ঝড়ের মধ্যে বাংলাদেশের মাথা গোঁজার ঠাঁই যেন!

১৯: ২৫ , জুলাই ০৩

পাওয়েলে ১৯৩ পর্যন্ত লাফ উইন্ডিজের

শরীফুল ইসলামের করা ইনিংসের শেষ বলটা আছড়ে নিয়ে গিয়ে গ্যালারিতে ফেললেন রোভম্যান পাওয়েল। ইনিংসের চিত্রটা যেন ফুটে উঠল তাতেই। বাংলাদেশ বোলাররা চেষ্টা করেছেন, তবে উইন্ডসর পার্কে আগে ব্যাটিং করতে নেমে স্বাগতিকেরা ঠিকই তুলে ফেলছে ১৯৩ রান।

প্রথম ৪ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও ব্রেন্ডন কিংয়ের ৭৪ রানের জুটি সে চাপ সামাল দিয়ে ভালো একটা ভিত এনে দেয় তাদের। মাঝের ওভারগুলোতেও নিয়মিত বাউন্ডারি পেয়েছেন তারা। সে ভিতে দাঁড়িয়েই পাওয়েল তোলেন ঝড়। ইনিংসে তখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা বোলার সাকিব আল হাসানের টানা চার বলে মারা চার বাউন্ডারিতে যেন একটা বার্তাই দিয়েছিলেন পাওয়েল!

শরীফুল ইসলাম এরপর ডেথ ওভার শুরু করেন বেশ ভালো বোলিং করে, ১৮তম ওভারে দেন মাত্র ৩ রান। তবে তাঁর শেষ ওভারে ওঠে ১৭ রান। পাওয়েল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন মাত্র ২৮ বলে ৬১ রান করে।

১৯: ৪১ , জুলাই ০৩

ম্যাকয়ের পরপর ২ বলে নেই লিটন-এনামুল

বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে দিয়ে একদিক থেকে বোলিং শুরু করিয়েছেন পুরান। প্রথম ওভারে কাট করে মারা লিটনের একটি চারের পর উঠেছিল ৮ রান। দ্বিতীয় ওভার করতে আসা ওবেদ ম্যাকয়ের প্রথম বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন লিটন, রান তাড়ায় বাংলাদেশ হোঁচট খেয়েছে শুরুতেই।

সে হোঁচট হুমড়ি খেয়ে পড়ায় পরিণত হয়েছে ঠিক পরের বলেই। ফুললেংথের বলটা স্টাম্পে ডেকে এনেছেন এনামুল হক। ৮ রানে প্রথম, ৮ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ!

ম্যাকয় দাঁরিয়ে গিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সামনে। চারে আসা মাহমুদউল্লাহ অবশ্য বাইরের বলটি খেলার চেষ্টাই করেননি।

১৯: ৪৭ , জুলাই ০৩

জিততে হলে গড়তে হবে রেকর্ড

দ্বিতীয় ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের সামনে এখন ১৯৩ রান তাড়া করা বেশ দীর্ঘ পথ! তবে শেষ পর্যন্ত সেটি তারা করলে নতুন একটা রেকর্ডই হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে এখন পর্যন্ত এত রান তাড়া করে জেতেনি কোনো দল। সর্বোচ্চ ১৯১ রান তাড়া করে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া, ২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাইক হাসির ওই ঝড়ের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা সেমিফাইনালে।

বাংলাদেশ অবশ্য এর আগে দুইবার জিতেছে ১৯০ বা এর বেশি রান তাড়া করে।

১৯: ৫০ , জুলাই ০৩

ফিরলেন মাহমুদউল্লাহও

আবার ওবেদ ম্যাকয়! না, এবার উইকেট পাননি, তবে ক্যাচ নিয়েছেন। ওডিন স্মিথকে জায়গা বানিয়ে তুলে মেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, মিড-অফে থাকা ম্যাকয়কে অবশ্য টপকাতে পারলেন না তিনি। স্মিথের এ ওভারে মাহমুদউল্লাহ মেরেছিলেন ছরের পর চার। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ককে থামতে হলো আগেভাগেই।

বাংলাদেশ ২৩/৩, ৩ ওভারে

২০: ০৩ , জুলাই ০৩

পাওয়ারপ্লে শেষ

৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪৪ রান। শেফার্ডের বলে টানা দুই চার মেরে পাওয়ারপ্লে শেষ করেছেন আফিফ হোসেন। ১৯৩ রান তাড়ায় ৬ ওভার শেষে হয়তো খুব একটা খারাপ নয় রানের সংখ্যা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ছিল এ সময়ে ৪৬ রান। তবে উইন্ডিজের ২ উইকেটের বিপরীতে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৩টি উইকেট।

২০: ১৮ , জুলাই ০৩

৪ ওভারে ৩৮ রান

আকিল হোসেনের বলটা শর্ট ছিল, পেছন দিকে গিয়ে মারা আফিফের পুল শটটা গেছে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে। ইনিংসে প্রথম ছক্কা মেরেছেন এ বাঁহাতি। ষষ্ঠ থেকে নবম—এই ৪ ওভারে উঠেছে ৩৮ রান। আফিফ ও সাকিব মিলে কতদূর টানতে পারবেন বাংলাদেশকে, প্রশ্ন সেটিই।

২০: ২০ , জুলাই ০৩

১০ ওভার শেষে ৭৬/৩

ইনিংসের মাঝপথে বাংলাদেশের স্কোর ৭৬ রান, ৩ উইকেট হারিয়ে। শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন তাই ১১৬ রান, মানে ওভারপ্রতি তুলতে হবে ১১.৬ রান।

২০: ২৪ , জুলাই ০৩

ফিরলেন আফিফ

সাকিবের সঙ্গে জুটি পেরিয়েছিল ৫০ রান, আফিফ হোসেন ছন্দেই ছিলেন। রোমারিও শেফার্ডের বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে সরে গিয়ে স্কুপ করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন এ বাঁহাতি। ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক করতে পারেননি, ধরা পড়েছেন উইকেটকিপার পুরানের হাতেই। ২৭ বলে ৩৪ রান করে ফিরলেন আফিফ, ৭৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল তিনি।

২০: ৩১ , জুলাই ০৩

সাকিবের সঙ্গে নুরুল, এবার কী?

নুরুল হাসানের বলে এলবিডব্লুর রিভিউ নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়ের বলটা অবশ্য নুরুলের প্যাডের আগে লেগেছে ব্যাটে। ফলে একটি রিভিউ হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

আফিফ ফেরার পর সাকিবের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নুরুল। অ্যান্টিগা টেস্টে এ দুজনের জুটিতে ইনিংস পরাজয় এড়িয়েছিল বাংলাদেশ। পরিত্যক্ত হওয়া প্রথম ম্যাচে দুজনের ব্যাটিং-ই যা একটু ইতিবাচক ছিল। এবার অবশ্য তাঁদের লড়াইটা ভিন্ন।

সাকিব আল হাসান এখন পর্যন্ত দেখেশুনে খেলছেন, বলপ্রতি রানের গতিতে এগোচ্ছেন তিনি। নুরুলের শুরুটাও আক্রমণাত্মক হয়নি।

২০: ৩৮ , জুলাই ০৩

৬ ওভার, ১০০ রান

ডমিনিকায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিততে গেলে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণটা এখন এমন। সাকিব-নুরুলের জুটি অবশ্য এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় রান রেটের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেননি মোটেও, ২২ বলে দুজন মিলে যোগ করেছেন মাত্র ১৬ রান।

২০: ৪১ , জুলাই ০৩

নুরুলকে হারাল বাংলাদেশ

আগের দিন শেষ দিকে বাংলাদেশকে ১০০ রান পার করিয়েছিলেন তিনিই। তবে ঠিক পরদিন ছন্দ হারিয়ে ফেললেন নুরুল হাসান। বাড়তে থাকা চাপ সামাল দিতে পারেননি আর, আকিল হোসেনের বলে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে ফিরেছেন ১৩ বলে ৭ রান করে।

২০: ৫৯ , জুলাই ০৩

১২ বল, ৬৪ রান

ওডিন স্মিথের বলে সাকিব খেলেছিলেন কাভারের দিকে। বাউন্ডারির একেবারে কাছ থেকে ফিল্ডিং করে পাঠালেন হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র। তবে এত দ্রুতগতিতে সেটি করলেন, ১ রানের বেশি এল না তাতে। পরের বলে অফ সাইডে খেলেছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন, এবার ছুটে গিয়ে ডাইভ দিয়ে সেটি থামালেন কিমো পল, এবার অবশ্য এলো ২ রান। তবে দুইটি দারুণ ফিল্ডিং হর্ষধ্বনিতে স্বাগত জানাল উইন্ডসর পার্ক।

স্মিথের শেষ বলে ছয় মেরেছেন মোসাদ্দেক। তাতে বাংলাদেশের উল্লাস কতটা বাড়ল প্রশ্ন সেটিই! শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ৬৪ রান!

২১: ০৫ , জুলাই ০৩

সাকিবের মন্থরতম ফিফটি, ২ হাজার ক্যারিয়ার রান

ক্যারিয়ারের দশম অর্ধশতক পূর্ণ করলেন সাকিব আল হাসান। তবে মাইলফলকে যেতে তাঁর লেগেছে ৪৫ বল। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সাকিবের মন্থরতম ফিফটি এটি তাঁর।

অর্ধশতকের পর অবশ্য গিয়ার বদলেছেন সাকিব, বলা যায় এমন। ফিফটির পর ৪ বলে করেছেন ১৭ রান। এর মধ্যে আবার হেইডেন ওয়ালশের হাতে জীবনও পেয়েছেন। ম্যাকয়কে ছয় মেরে পূর্ণ করেছেন ২ হাজার ক্যারিয়ার রান। মাহমুদউল্লাহর পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এ কীর্তি হলো তাঁর।

২১: ১৪ , জুলাই ০৩

৩৫ রানে হেরে সিরিজে পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ

১৯৪ রানের লক্ষ্য, দুই ওপেনার ফিরলেন ৮ রানের মধ্যেই। এরপর ২৩ রানে নেই ৩ উইকেট।

সে চাপ থেকে আর বেরোতে পারেনি বাংলাদেশ। তাদের ব্যাটিংকে ইনিংসের প্রায় পুরোটা সময়জুড়েই মনে হয়েছে লক্ষ্যহীন। সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে উঠেছিল ৫৫ রান, তবে তাতে লেগেছে ৪৪ বল। আফিফও ফিরে গেছেন অসময়েই। সাকিব টিকে ছিলেন বেশ কিছুক্ষণ, তবে তাঁর ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিং শুধু ব্যবধানটাই কমিয়েছে একটু। ৪৫ বলে ফিফটি পর সাকিব শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫১ বলে ৬৭ রান করে। যতক্ষণে গিয়ার বদলেছেন, ততক্ষণে আসলে শেষ সবই।

ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে ২০ ওভারে ১৫৮ রান তুলতেই থেমেছে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি তারা হেরেছে ৩৫ রানে।

৮.৫ থেকে ১৬.৩ ওভার—এ লম্বা সময় বাংলাদেশ কাটিয়েছিল বাউন্ডারি ছাড়াই। পুরো ইনিংসে ডট বলই হয়েছে ৪৪টি। পাওয়ারপ্লে, মাঝের ওভারের পর ডেথ ওভার—উইন্ডিজ বোলাররা ছিলেন দারুণ, বাংলাদেশকে সেভাবে স্কোরিংয়ের সুযোগ দেননি তাঁরা।

আগের সফরে প্রথম ম্যাচ হারের পরও ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি জিতেছিল বাংলাদেশ। ডমিনিকায় পরাজয়ে নিশ্চিত হলো, এবার অন্তত সিরিজ জেতা হচ্ছে না তাদের।

আগামী ৭ জুলাই গায়ানায় শেষ ম্যাচে জিতলে সর্বোচ্চ সিরিজ ড্র করতে পারবে বাংলাদেশ।

পড়ুন ডমিনিকা থেকে তারেক মাহমুদের ম্যাচ রিপোর্ট