স্বাস্থ্য শুধু শরীরের নয়, মনেরও
১৯৪৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘স্বাস্থ্য’–এর যে সংজ্ঞা দিয়েছিল, তা আজও অমলিন। সেখানে বলা হয়েছিল, ‘কেবল নিরোগ থাকাটাই স্বাস্থ্য নয়; বরং শারীরিক, মানসিক, আত্মিক ও সামাজিকভাবে ভালো থাকার নামই স্বাস্থ্য।’ অথচ কার্যত এই সংজ্ঞার খণ্ডিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয় প্রতিনিয়ত, কখনো সচেতনভাবে, আবার কখনো অসচেতনতায়। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ‘স্বাস্থ্য’ শব্দটি সীমাবদ্ধ হয়ে ছিল ‘শারীরিক’ অংশটুকুর মধ্যে। তবে আশার কথা এই যে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেরিতে হলেও বাংলাদেশে ‘মানসিক স্বাস্থ্য’ বিষয়টি ধীরলয়ে প্রবেশ করছে স্বাস্থ্যব্যবস্থার মূল আঙিনায়।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার লক্ষ্য ৩–এ সুস্বাস্থ্য আর কল্যাণ অর্জনের জন্য আত্মহত্যাজনিত মৃত্যুহার হ্রাস, মাদকের অপব্যবহার কমিয়ে আনা, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ; লক্ষ্যমাত্রা ৮–এ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার নিশ্চিতকরণ; লক্ষ্য ১০–এ অসমতা হ্রাস করতে হলে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা (ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজ) অর্জনের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব না দেওয়ার কোনো উপায় নেই, কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যসেবার ইতিহাসে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই উপেক্ষিত ছিল। বিগত কয়েক বছরে স্বাস্থ্য খাতের নীতিনির্ধারকেরা বিষয়টির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন সত্যি, কিন্তু অনেক দিনের মরচে পড়া, পিছিয়ে থাকা বিষয়টিকে সত্যিকারের অর্থবহ করতে সাধারণ গতিতে চললে পিছিয়েই থাকতে হবে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৮-২০১৯ অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মানসিক রোগের হার ১৬.৮% এবং শিশু কিশোরদের মধ্যে এ হার ১৩.৬%। এর বিপরীতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মাত্র ২৬০ জন, প্র্যাকটিসিং সাইকোলজিস্টের সংখ্যা ৬০০–এর কাছাকাছি। ২০০ শয্যার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ৫০০ শয্যার পাবনা মানসিক হাসপাতালসহ দেশে সরকারি পর্যায়ে মানসিক রোগের জন্য অন্তর্বিভাগে মোট শয্যার সংখ্যা ৮৫০–এর কাছাকাছি। ১৬ কোটি মানুষের জন্য এই অপ্রতুল সম্পদ নিয়ে মানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার অসম্ভব কাজটি কিন্তু করে যাচ্ছেন আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যে কর্মরত ব্যক্তিরা! স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দকৃত বাজেটের মাত্র শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য খাতে।
দেশের বেশির ভাগ মেডিকেল কলেজে মানসিক রোগ বিভাগগুলো জনবল আর সুবিধায় অপরিপূর্ণ, সব কটিতে নেই অন্তর্বিভাগ। সবচেয়ে করুণ অবস্থা মেডিকেল শিক্ষার স্নাতক পর্যায়ে। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী, পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক রোগ অন্তর্বিভাগে হাতে–কলমে শিক্ষার সুযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। চতুর্থ বর্ষে শিক্ষার্থীরা যখন ব্যস্ত থাকেন প্যাথলজি আর অন্যান্য প্যারাক্লিনিক্যাল বিষয় নিয়ে, তখন তাঁদের মানসিক রোগের ওয়ার্ডে পাঠানো হয়, যা একদমই কার্যকরী নয়। লিখিত পরীক্ষায় মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রায় নেই করে দেওয়া হয়েছে, মৌখিক পরীক্ষায়ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। ইন্টার্ন করার সময় মানসিক রোগ বিভাগে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের থাকার সুযোগ মাত্র সাত দিন! অন্যান্য দেশের মেডিকেল কারিকুলামের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, আমরা বিষয়টিকে মেডিকেল শিক্ষার শুরু থেকেই কম গুরুত্ব দিয়ে আসছি।
১৯৭৮ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আলমা আটায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের যৌথ ঘোষণাপত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার খুঁটিনাটি বিবৃত হয়েছিল। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার উপাদানের মধ্যে ছিল স্বাস্থ্যশিক্ষা, রোগনিয়ন্ত্রণ, সম্প্রসারিত টিকা কার্যক্রম, মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করা, পুষ্টি, পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা এবং সাধারণ রোগগুলোর চিকিৎসা। এগুলোর মধ্যে সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বলা না হলেও প্রায় প্রতিটি উপাদানের সঙ্গেই মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি যুক্ত। সাধারণ স্বাস্থ্যশিক্ষা কখনোই পূর্ণাঙ্গ হবে না, যতক্ষণ মানসিক স্বাস্থ্যশিক্ষা না হচ্ছে। রোগনিয়ন্ত্রণ করতে হলে শারীরিক-মানসিক সব রোগকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, বিশেষত কিছু শারীরিক সমস্যায় মানসিক রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়, আবার কিছু মানসিক সমস্যা শারীরিক লক্ষণ নিয়ে প্রকাশ পেতে পারে।
মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারলে শিশুর মানসিক প্রতিবন্ধিতাসহ নানাবিধ জন্মগত ত্রুটির পাশাপাশি মায়ের প্রসব–পরবর্তী মানসিক সমস্যা দূর করা সম্ভব। পুষ্টিমান নিশ্চিত করা না গেলে বুদ্ধির বিকাশ ও মানসিক বৃদ্ধি যেমন ব্যাহত হয়, তেমনি অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মানসিক সুস্থতা বজায় থাকে না। কেবল বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের সর্বত্র মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি নানা কারণে অন্ত্যজ হয়ে আছে আর আমাদের দেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে মানসিক রোগ নিয়ে আছে নানা অন্ধবিশ্বাস, মিথ ও অপচিকিত্সার ছড়াছড়ি।
এবার কিছু আশার কথা। নেই নেই করেও আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এগিয়ে চলেছে, বিশেষ করে গত ১০ বছরে সরকারের নীতিনির্ধারক মহল মানসিক স্বাস্থ্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। ২০১৮ সালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয় এবং এর শয্যাসংখ্যা দ্বিগুণ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের নেতৃত্বে অটিজম এবং স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যা বিষয়ে জাতীয় কর্মকৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়, যা বিশ্বের জন্য একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ১০৮ বছরের পুরোনো ইন্ডিয়ান লুনাসি অ্যাক্ট বাতিল করে ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮’ জাতীয় সংসদে পাস করা হয়। এই আইন মানসিক রোগীদের অধিকার নিশ্চিত করার একটি মাইলফলক।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যনীতি ২০১৯ চূড়ান্ত করা হয়েছে। স্নায়ুবিকাশজনিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার নিশ্চিত করতে স্নায়ুবিকাশজনিত প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়। অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বহু খাতভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সদ্য সমাপ্ত ৭৪তম অধিবেশনে বাংলাদেশের উদ্যোগে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সাইড ইভেন্টের আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্যকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সবকিছু আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য খাতে নীতিনির্ধারকদের সদিচ্ছা আর দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু তাতেও মানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এর প্রধান কারণ, মানসিক স্বাস্থ্য আর মানসিক রোগ নিয়ে আমাদের নানা ভ্রান্ত ধারণা আর কুসংস্কার। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, মানসিক স্বাস্থ্য বলতে সবাই মানসিক রোগের কথা মনে করে। বস্তুত মানসিক স্বাস্থ্য অর্থ কেবল মানসিক রোগ নয়, বরং মনের যত্ন নেওয়া, নিজের সক্ষমতা আর দুর্বলতা বুঝতে পারা এবং দৈনন্দিন চাপের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে উত্পাদনশীল থাকাটাই মানসিক স্বাস্থ্য। যখন একজন মানুষের চিন্তা, আবেগ আর আচরণ সুষম আর স্বাভাবিক থাকে, তখন ধরে নেওয়া যায় সে মানসিকভাবে স্বাস্থ্যবান।
আমরা যেমন প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করি, শরীরের যত্ন নিই, সুষম খাবার খাই, তেমনি আমাদের মনেরও যত্ন নিতে হবে। যেসব কারণে মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতেই হবে, সেগুলো হচ্ছে—
১. মানসিক স্বাস্থ্য অর্থ কেবল মানসিক রোগ নয়—মানসিক স্বাস্থ্য বলতে কেবল মানসিক রোগ বোঝায় না। মনে কোনো রোগ না হলেও মনের যত্নের প্রয়োজন আছে। যার কোনো মানসিক রোগ নেই, তার মনটিকে সুস্থ রাখার জন্য মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতেই হবে।
২. মনোদৈহিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও দেহ–মনের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া—ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা, হাঁপানি, স্ট্রোক, এসএলই, আর্থ্রাইটিস, ক্যানসারসহ বেশ কিছু শারীরিক রোগ আছে, যার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক আছে। এসব রোগে বিষণ্নতাসহ নানাবিধ মানসিক উপসর্গ থাকতে পারে। তাই শারীরিক স্বাস্থ্যের মতো মানসিক স্বাস্থ্যকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
৩. মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা—বাংলাদেশে তো বটেই, এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও মানসিক রোগ নিয়ে রয়েছে নানা ভ্রান্ত বিশ্বাস, তাই একদিকে যেমন মানসিক রোগী ও তার পরিবার চিকিত্সা গ্রহণে অনাগ্রহী থাকে, অন্যদিকে কার্যকরী মানসিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় সব রোগী সুচিকিৎসা পায় না। ফলে মানসিক সমস্যার প্রকোপ বৃদ্ধি ও চিকিত্সাহীনতার দুষ্টচক্র চলতেই থাকে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কুসংস্কার দূর করতেই হবে।
৪. মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি সবার—মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়টি বর্তমানে পুরোপুরি বিশেষজ্ঞনির্ভর। বিশেষায়িত হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ আর কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগগুলো ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ কম। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সব পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক, সমাজসেবক, সংবাদকর্মী, জনপ্রতিনিধিসহ প্রত্যেকেরই কিছু প্রশিক্ষণ থাকা প্রয়োজন, নইলে এটি মেডিকেল মডেলে সীমাবদ্ধ থাকবে, সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছাবে না।
৫. মানসিক রোগীর মানবাধিকার নিশ্চিত করা—মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮ সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে, এতে মানসিক রোগীদের প্রতি বৈষম্য কমবে, তাদের প্রতি সমাজের ভ্রান্ত ধারণা পাল্টাবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, তা রোধ করা সম্ভব হবে।
৬. কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য—কর্মীদের মানসিক টানাপোড়েন আর স্ট্রেসের কারণে উৎপাদনশীলতা কমে যায় বলে গবেষণায় প্রমাণিত। ফলে কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
৬. ঝুঁকিপূর্ণ আর নাজুক জনগোষ্ঠীর জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা—দুর্যোগ-দুর্ঘটনার পর উদ্ধার করা ব্যক্তিদের জন্য খাবার, ওষুধ, আশ্রয়ের পাশাপাশি তাদের মনের দিকেও নজর দিতে হবে। কারণ, যেকোনো দুর্যোগের পর উদ্ধার করা ব্যক্তিদের মধ্যে মানসিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়।
মানসিক স্বাস্থ্য যেন কেবল মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের বিষয় না হয়, এটি সবার বিষয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে যে ২০৩০ সাল নাগাদ পৃথিবীতে রোগের বোঝার (ডিজিজ বার্ডেন) ১ নম্বর কারণ হবে বিষণ্নতা আর সে সময় বছরে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ আত্মহত্যাজনিত মৃত্যুর শিকার হবে।
ভবিষ্যতে উন্নত জাতি হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করতে হলে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দিতেই হবে। কারণ, আগামী দিনের পৃথিবী হবে মানসিক স্বাস্থ্যের পৃথিবী। এ কারণে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আমরা যতটুকু এগিয়েছি, তার চেয়ে আরও বেশি গতিতে এগোতে হবে। কারণ, একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যখন পিছিয়ে থাকে, তখন তাকে খুঁড়িয়ে চললে হবে না, অন্য বিষয়ের সঙ্গে সমান তালে চললেও হবে না, এটিকে রকেটের গতিতে এগিয়ে নিতেই হবে।
ডা. আহমেদ হেলাল: (মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা।)