এত যে গলা ছেড়ে ডেকে চলেছি,
আমার কণ্ঠস্বর ক্রমাগত আসছে
ফিরে আমারই কাছে। এই বিরান সন্ধ্যায়
অন্য কারও গলার আওয়াজ
শুনতে পেলে, সত্যি বলছি,
গোধূলিবেলায় হতে পারতাম আশ্বস্ত।
ভাবছি, কেন নিরস্ত্র আমি বড় অচেনা
এই পথ বেয়ে প্রায়–অরণ্যে ঢুকে পড়েছি?
ভুলে সঙ্গে টর্চলাইট কিংবা একটি
রিভলবার আনা হয়নি।
লহমায় মনে পড়ল কস্মিনকালেও
কোনো হাতিয়ার, আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কথা ভাবিনি।
যদি দাঙ্গাবাজ কিছু হার্মাদ হঠাৎ
এখানে ঢুকে পড়ে, তাহলে সুনিশ্চিত বেজায়
বেগানা এ জঙ্গলে লাশ হয়ে পড়ে থাকব।
আপনজন যারা তারা জানবে না পরিণতি আমার।
কী আশ্চর্য! কিছুক্ষণ পরেই দেখি আকাশে
তারা আর চাঁদের জ্বলজ্বলে আশ্বাসময় আসর।
একি সত্যি নাকি দৃষ্টিভ্রম আমার?
এতটা পথ হাঁটতে হাঁটতে বড় বেশি ক্লান্তি এখন
আমাকে ঠেলে দিচ্ছে কি বাস্তব আর অবাস্তবের মিশ্রিত
বেড়াজালে? কে আমাকে ডাকছে এমন
মধুর সুরে? এই তো দেখছি এক সুন্দরীর ইশারা।
পরক্ষণেই দৃষ্টিকে আঘাত করে ডাইনি!
আরও পড়ুন :