নামাজ বিশ্বাসীদের কাছে মিরাজ
সিজদা না করে শয়তান আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত হয়েছিল। সিজদা আল্লাহর খুব প্রিয়। সিজদা দিয়ে আমরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারি। সুরা আলাকের ১৯ নম্বর আয়াতে রয়েছে, ‘তুমি সিজদা করো আর আমার কাছে এসো।’
ভ্রাতৃত্ববোধের চেতনায় ধনী ও দরিদ্র ব্যক্তি নামাজের এক কাতারে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে একসঙ্গে নিজেদের সমর্পণ করেন।
নামাজ এমন এক ধ্যান ও নির্ভরতা; যার মাধ্যমে আল্লাহর দিদার লাভের সুযোগ হয়। নামাজকে বলা হয় বিশ্বাসীদের মিরাজ। নামাজে বিনয়, নম্রতা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও তন্ময়তার মাধ্যমে এ সুযোগ পাওয়া যায়। সিজদার পর প্রতি নামাজে তাশাহুদ বা আত্তাহিয়্যাতু পড়া হয়।
নামাজের মাধ্যমে ধ্যান ও জ্ঞানের সমন্বয়ে আল্লাহর দরবারে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়। মিরাজ মহান আল্লাহর সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর সাক্ষাতের ঘটনা। নামাজ বিশ্বাসীদের কাছে মিরাজ। এর মাধ্যমে মানুষ সর্বশক্তিমান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ বা দিদারের সুযোগ পায়। নামাজ আল্লাহ ও তাঁর বান্দার মধ্যে সুনিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার সেতুবন্ধ।
সিজদা না করে শয়তান আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত হয়েছিল। সিজদা আল্লাহর খুব প্রিয়। সিজদা দিয়ে আমরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারি। সুরা আলাকের ১৯ নম্বর আয়াতে রয়েছে, ‘তুমি সিজদা করো, আর আমার কাছে এসো।’
আগে থেকেই বিভিন্ন সময় নামাজের প্রচলন থাকলেও মিরাজের সময় থেকে ফরজ পূর্ণতা পায়। নবী করিম (সা.) সব মানুষের জন্য একটি নিয়মতান্ত্রিক ইবাদতের ব্যবস্থা উপহার পেয়েছিলেন। পবিত্র মক্কা থেকে পবিত্র মদিনায় হিজরতের আগের বছর নবুয়তের একাদশ বছরে তিনি মিরাজের মর্যাদা লাভ করেছিলেন। সেই সময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নির্ধারিত হয়। পরবর্তী সময়ে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নামাজের সময় ও পদ্ধতি শিখিয়ে দেন।
নামাজ কয়েক প্রকার। যিনি যত নামাজ পড়বেন, তিনি তত বেশি লাভবান হবেন।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র মক্কা থেকে পবিত্র মদিনায় হিজরত করার পর ইবাদতের জন্য মদিনায় মসজিদে নববি নির্মিত হলো। মানুষকে নামাজের জন্য আহ্বান জানাতে আজানের ব্যবস্থা করা হলো। বলা হলো, নামাজের জন্য হাজির হও। কল্যাণের জন্য এসো। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নেই।
ভ্রাতৃত্ববোধের চেতনায় ধনী ও দরিদ্র ব্যক্তি নামাজের এক কাতারে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে একসঙ্গে নিজেদের সমর্পণ করেন।