কুসুম্বা মসজিদ

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদের অবস্থান। মসজিদটি ধরে রেখেছে সুলতানি আমলের অনন্য নিদর্শন। এর মিহরাবের ওপর সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহর নাম লিপিবদ্ধ করা। ধারণা করা হয়, তাঁর শাসনামলে মসজিদটি নির্মিত। এটি চারকোনাবিশিষ্ট। কালো ও ধূসর রঙের পাথর আর পোড়ামাটির ইটে গড়া এই মসজিদ। ব্যবহার করা হয়েছে মাটির টালি। মসজিদের গায়ে জ্যামিতিক নকশার আদলে পোড়ামাটির সুদৃশ্য কারুকাজ। মিহরাবে বিচিত্র ফুল, লতাপাতা, ঝুলন্ত শিকল ও মনোরম শিল্পকর্ম। ইটের তৈরি মসজিদের দেয়ালের বাইরে ও ভেতরের দিক পাথরে আবৃত। মসজিদের চার কোনায় চারটি আট কোনাকৃতির বুরুজ আছে। এর ভেতরে দুটি প্রশস্ত স্তম্ভ আছে। এ দুই স্তম্ভ ও চারপাশের দেয়ালের ওপর ছয়টি গম্বুজ আছে। মসজিদের সামনে একটি বিশাল জলাশয়। বাংলাদেশের ৫ টাকার নোটে কুসুম্বা মসজিদের ছবি ছাপানো আছে।

কীভাবে কুসুম্বা মসজিদে যাওয়া যায়

কীভাবে যাওয়া যায়: কুসুম্বা গ্রাম নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে উপজেলা সদর থেকে তিন মাইল দক্ষিণ-পূর্বে। নওগাঁ শহর থেকে বাস বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এই মসজিদে যাওয়া যায়।

১ / ১১
বাইরে থেকে কুসুম্বা মসজিদ
ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন
আরও পড়ুন
২ / ১১
মসজিদের কারুকাজমণ্ডিত দক্ষিণের অংশ
ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন
৩ / ১১
মসজিদের তিনটি প্রবেশদ্বারের একটি
ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন
৪ / ১১
নকশাখচিত মসজিদের পিলার
ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন
৫ / ১১
মসজিদের দেয়ালে লতাপাতার নকশা করা কারুকাজ
ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন
৬ / ১১
মসজিদটির ভেতরের অংশ
ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন
৭ / ১১
কারুকার্মযণ্ডিত মসজিদের মিহরাব
ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন
৮ / ১১
মিহরাবের একটি অংশ
ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন
৯ / ১১
মিহরাবে লতাপাতার সুন্দর কারুকাজ
ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন
১০ / ১১
কারুকার্যমণ্ডিত মিহরাবের আরেকটি অংশ
ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন
১১ / ১১
প্রাচীনকালে মসজিদভিত্তিক বিচারব্যবস্থার প্রচলন ছিল। মসজিদের এই প্ল্যাটফর্মটিতে বসে বিচারক বিচারকার্য পরিচালনা করতেন
ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন