নামাজের ১৩টি ফরজ
নামাজের বাইরে সাতটি ফরজ ও নামাজের ভেতরে ছয়টি ফরজ রয়েছে।
নামাজের বাইরে সাতটি ফরজ হলো:
১. শরীর পবিত্র হতে হবে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘হে বিশ্বাসীগণ! যখন তোমরা নামাজের জন্য দাঁড়াও, তখন তোমাদের মুখ ও হাত কনুই পর্যন্ত ধোবে ও তোমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে নেবে, আর পা গিঁট পর্যন্ত ধোবে। যদি তোমরা অপবিত্র থাকো, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হবে। যদি তোমরা অসুস্থ থাকো বা সফরে থাকো বা তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসো কিংবা স্ত্রীর সঙ্গে সংগত হও, আর পানি না পাও, তবে তাইয়াম্মুম করবে পরিষ্কার মাটি দিয়ে এবং তা মুখে ও হাতে বুলিয়ে নেবে। আল্লাহ তোমাদেরকে কষ্ট দিতে চান না এবং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান ও তোমাদের ওপর তাঁর অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জানাতে পারো।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৬)
২. কাপড় পবিত্র হতে হবে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘পবিত্র করো তোমার কাপড়।’ (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত: ৪)
৩. নামাজের জায়গা পবিত্র হতে হবে। (তিরমিজি, হাদিস: ১)
৪. সতর ঢাকতে হবে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘হে আদম সন্তান! প্রত্যেক নামাজের সময় তোমরা সুন্দর পোশাক পরবে, পানাহার করবে, কিন্তু অপচয় করবে না। তিনি অপচয়কারীদেরকে ভালোবাসেন না।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ৩১)
৫. কিবলামুখী হতে হবে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, কাবার দিকে মুখ ফেরাও ।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৪৪)
৬. ওয়াক্তমতো নামাজ পড়তে হবে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘তারপর যখন তোমরা নামাজ শেষ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে বা শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। যখন তোমরা নিশ্চিন্ত হবে, তখন নামাজ কায়েম করবে। নির্ধারিত সময়ে নামাজ কায়েম করা বিশ্বাসীদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১০৩)
৭. নামাজের নিয়ত করতে হবে। (বুখারি, হাদিস: ১)
নামাজের ভেতরে ছয়টি ফরজ
১. শুরুতে তাকবির দিতে হবে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করো।’ (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত: ৩)
২. ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ দাঁড়িয়ে পড়তে হবে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘তোমরা নামাজের প্রতি যত্নবান হবে। বিশেষ করে মাঝখানের নামাজ (আসরের) সযত্নে রক্ষা করবে আর আল্লাহর সামনে বিনীত হয়ে দাঁড়াবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৩৮)
৩. আয়াত সুন্দর করে পাঠ করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘কোরআন থেকে যতটুকু পাঠ করা তোমাদের জন্য সহজ তোমরা ততটুকুই পাঠ করো।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত: ২০)
৪. রুকু করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা রুকু করো, সিজদা করো ও তোমার প্রতিপালকের উপাসনা করো এবং সৎকর্ম করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৭৭)
৫. সিজদা করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা রুকু করো, সেজদা করো ও তোমার প্রতিপালকের উপাসনা করো এবং সৎকর্ম করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৭৭)
৬. শেষ বৈঠক করতে হবে।