আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ইমানের অন্যতম অঙ্গ
নানা কারণে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্ব হয় কারো গুণে মুগ্ধ হয়ে, কারও টাকা-পয়সা বা প্রভাব-প্রতিপত্তি থাকলে উপকারের প্রত্যাশায়। গভীর বন্ধুত্ব হয় কারো চিন্তাভাবনা বা দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে মিলের কারণে।
আল্লাহর কারণে যখন কারো বন্ধুত্ব হয়, সেটি থাকে সবার উর্ধে। এই বন্ধুত্বে কোনো স্বার্থ থাকে না। এই বন্ধুত্ব সহজ মনে হলেও আসলে তা কঠিন। এর ফজিলতও অনেক বেশি।
হাদিসে আছে, সাত শ্রেণির মানুষকে আল্লাহ তাঁর আরশের ছায়ায় স্থান দেবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না। তাদের মধ্যে একটি শ্রেণি আছে সেই দুই ব্যক্তি, যারা একে অপরকে শুধু আল্লাহর জন্য ভালোবাসে, আল্লাহর জন্যই তারা একত্র ও আলাদা হয় (বুখারি শরিফ)।
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ইমানের অন্যতম অঙ্গ। হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন যে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যার মধ্যে তিনটি গুণ আছে সে ইমানের স্বাদ পাবে—যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে; যে শুধু আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসে; এবং আল্লাহ যাকে কুফরি থেকে মুক্তি দিয়েছেন সে কুফরিতে ফিরে যাওয়াকে এমনভাবে অপছন্দ করে, যেভাবে অপছন্দ করে আগুনের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে।’ (বুখারি শরিফ)
আল্লাহর জন্য কোনো মুমিনকে ভালোবেসে তার কোনো সাহায্যে এগিয়ে এলে আল্লাহ তার জন্য অনুরূপ সাহায্য নিয়ে হাজির হন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কোনো বিপদ দূর করে দেবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার কোনো একটি কঠিন বিপদ দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবগ্রস্ত মানুষের অভাব সহজ করে দেবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার অভাব সহজ করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ-ত্রুটি গোপন করে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ততক্ষণ পর্যন্ত সহযোগিতা করেন, যতক্ষণ সে তার অন্য ভাইয়ের সাহায্যে রত থাকে।’ (মুসলিম শরিফ)