আজান ও ইকামতে কী বলা হয়
আজান নামাজ পড়ার আহ্বান। কোরআনের সুরা মায়িদার ৫৮ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা যখন নামাজের জন্য ডাকো, তখন তারা তাকে হাসি-তামাশা ও খেলার জিনিস বলে নেয়।’
আজানের বাক্যগুলো
আল্লাহু আকবার ৪ বার
আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ২ বার
আশহাদু আন্না মোহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ ২ বার
হাইয়া আল্লাস সালাহ ২ বার
হাইয়া আলাল ফালাহ ২ বার
আবার ‘আল্লাহু আকবার’ ২ বার এবং সবশেষে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ১ বার উচ্চারিত হয়।
ফজরের নামাজের আজানে ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’র পর ‘আস সালাতু খাইরুম মিনাননাউম’ অর্থ: ঘুম অপেক্ষা নামাজ উত্তম’ ২ বার বলা হয়।
আজানের বাংলা অর্থ
আল্লাহ মহান
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই’
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল’
নামাজের জন্য আসো
কল্যাণের জন্য আসো’
আল্লাহ মহান
আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই’
নামাজের ইকামত
ফরজ নামাজের আগে ইমামের পেছনে দাঁড়ানোর পর মুয়াজ্জিন আবার আজান দেন। একে ইকামত বলা হয়।
ইকামতে ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’র পর ‘কাদকামাতিস সালাহ’ বলা হয় ২ বার।
আজান শুনলে শ্রোতা মনে মনে আজানের শব্দ বলবেন। ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’র পরিবর্তে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলবেন।
আজানে ‘আল্লাহু আকবার’ ৪ বার, ‘আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ ২ বার, ‘আশহাদু আন্না মোহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ’ ২ বার, ‘হাইয়া আল্লাস সালাহ’ ২ বার,
‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ ২ বার, আবার ‘আল্লাহু আকবার’ ২ বার এবং সবশেষে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ একবার উচ্চারিত হয়।
ফজরের নামাজের আজানে ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’র পর ‘আস সালাতু খাইরুম মিনাননাউম’ দুবার বলা হয়।
ফরজ নামাজের আগে ইমামের পেছনে দাঁড়ানোর পর মুয়াজ্জিন আবার আজান দেন। একে আকামত বা ইকামত বলা হয়। ইকামতে ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’র পর ‘কাদকামাতিস সালাহ’ বলা হয় দুবার। আজান শুনলে শ্রোতা মনে মনে আজানের শব্দ বলবেন। ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’র পরিবর্তে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলবেন।
ইকামতের বাক্যগুলো
আল্লাহু আকবার, (৪ বার)
আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, (২ বার)
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ, (২ বার)
হাইয়া আলাস সালাহ, (২ বার)
হাইয়া আলাল ফালাহ (২ বার)
কদ কমাতিস সালাহ, (২বার)
আল্লাহু আকবার, (২ বার)
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (১ বার)।
ফজরের নামাজের আজানে পঞ্চম বাক্যের (হাইয়া আলাল ফালাহ) পর বলতে হয়, আস সালাতু খায়রুম মিনান নাওম, ‘ঘুম অপেক্ষা নামাজ উত্তম’ (২বার) এবং ইকামতে এই স্থানে বলতে হয় কদ কমাতিস সালাহ, ‘জামাত প্রস্তুত’ (২ বার)।