সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

সর্বশ্রেষ্ঠ জিকিরফ্রিপিক

জিকিরই কলবকে সজীব রাখার পথ।

হজরত আবু দারদা (রা.) বলেন, ‘যাদের জিহ্বা আল্লাহর জিকিরে তরতাজা থাকবে, তারা হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’

নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি জিনিসের মরিচা পরিষ্কার করার যন্ত্র আছে, আর অন্তরের মরিচা পরিষ্কার করার যন্ত্র হলো আল্লাহর জিকির।’ (বায়হাকি)

অবসর ও আরামের সময় জিকির করতে থাকলে বিপদে-আপদে তা কাজে আসে। দিনে-রাতে, সুস্থতা-অসুস্থতায়, হাঁটাচলায়, কাজের ফাঁকে সর্বাবস্থায় আল্লাহর জিকির অন্তরে রাখা প্রয়োজন। জিকির অন্তরে শান্তি ও প্রশস্ততা এনে দেয়।

আরও পড়ুন

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, ‘যে ব্যক্তি নীরবে বসে আল্লাহর জিকির করে ও তার চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হতে থাকে, আল্লাহ তাকে তাঁর রহমতের ছায়ায় আশ্রয় দান করবেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)

কোরআনে আছে, ‘তারপর যখন তোমরা নামাজ শেষ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে বা শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। যখন তোমরা নিশ্চিন্ত হবে, তখন নামাজ কায়েম করবে। নির্ধারিত সময়ে নামাজ কায়েম করা বিশ্বাসীদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

আরও পড়ুন

সব ইবাদতই আল্লাহর জিকির ছাড়া আর কিছু নয়। আল্লাহর স্মরণ বা জিকির বিষণ্নতা দূর করে, মানসিক উত্তেজনা কমায়, হতাশা দূর করে ও দুশ্চিন্তামুক্ত রাখে।

কালেমায়ে তাইয়েবা ইসলামের মূল ভিত্তি। আর আল্লাহর জিকির বা স্মরণই সব ইবাদতের প্রাণ। নামাজেরও একমাত্র উদ্দেশ্য আল্লাহকে স্মরণ করা।

নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া হলো ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’। ‘সুবহানাল্লাহ’, ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ ও ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার’ কোনো কোনো বর্ণনায়, ‘লা হাওলা ওয়া লা কুওইয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’কেও এর সঙ্গে যোগ করা হয়েছে। যা মনে মনে পড়া যায়, প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পরে পড়া যায় কিংবা ঘুমানো আগেও পড়া যায়।

আরও পড়ুন
কোরআনে আছে, ‘তারপর যখন তোমরা নামাজ শেষ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে বা শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। যখন তোমরা নিশ্চিন্ত হবে, তখন নামাজ কায়েম করবে। নির্ধারিত সময়ে নামাজ কায়েম করা বিশ্বাসীদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
আরও পড়ুন