বাংলাদেশি হজযাত্রীর ইন্তেকাল হলে কী হয়

কাবা শরিফ, মক্কা, সৌদি আরবফেরদৌস ফয়সাল

চলতি বছর সৌদি আরবে হজ করতে গিয়ে স্বাভাবিক কারণে ৯৬ জন ইন্তেকাল করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৭২ ও নারী ২৪ জন। তাঁদের মধ্যে মক্কায় ৮০ জন, মদিনায় ৫, জেদ্দায় ১, মিনায় ৭, আরাফায় ২ ও মুজদালিফায় ১ জন ইন্তেকাল করেছেন।

প্রত্যেক হজযাত্রী হজে গমনের আবেদনপত্র পূরণ ও স্বাক্ষর করেছেন। সেই আবেদনপত্রে অঙ্গীকার করেছেন, সৌদি আরবে মৃত্যু হলে মরদেহ সেখানেই দাফন করা হবে। কোনো ওজর–আপত্তি থাকবে না, এমনকি পরিবার–পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হবে না। সৌদি আরবে হজ করতে আসা/বাংলাদেশি হজযাত্রী হাজির বাড়ি অথবা রাস্তায় দুর্ঘটনা অথবা হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে ইন্তেকালের খবর নিশ্চিত হয়ে নিকটস্থ হাসপাতাল অথবা বাংলাদেশ হজ কার্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে চিকিৎসকের সনদ সংগ্রহ করা হয়।

আরও পড়ুন

তারপর মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়। মৃত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন বা কাছের কেউ শনাক্ত করেন। তা সত্যায়িত করার জন্য মোয়াল্লেম অফিস থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হয়। বাংলাদেশ হজ মিশনের কার্যালয় থেকে সনদ সংগ্রহ করা হয়।

মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজার নামাজ পড়া হয়, আর মদিনায় মারা গেলে মসজিদে নববিতে জানাজা পড়া হয়। জেদ্দায় মারা গেলে জেদ্দায় জানাজা পড়া হয়।

জানাজা শেষে মক্কার শারায়া (হজযাত্রীদের জন্য কবরস্থান) কবরস্থানে দাফন করা হয়। মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে অথবা জেদ্দায় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আরও পড়ুন

মক্কা ও মদিনা দুই জায়গাতেই প্রায় প্রতি ওয়াক্তেই ফরজ নামাজের পর জানাজার হয়। হজযাত্রী এবং সম্ভবত আশপাশের এলাকার যাঁরা মারা যান, তাঁদের জানাজা এই দুই পবিত্র মসজিদে হয়ে থাকে। কোনো কোনো ওয়াক্তে একাধিক জানাজাও হয়ে থাকে।

ফরজ নামাজের পর সঙ্গে সঙ্গে সুন্নত নামাজ শুরু না করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় জানাজার জন্য। হজযাত্রীদের তাই জানাজার নিয়মকানুন ভালো করে শিখে যাওয়া উচিত।

আরও পড়ুন