দান-সদকায় এগিয়ে আসা
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে দান-সদকার ফজিলতও বর্ণিত হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন ভঙ্গিতে। একজন অভাবীর অভাব মোচন করতে গিয়ে নিজেকেই অভাবের শিকারে পরিণত করা থেকে ইসলাম আমাদের সতর্ক করে দিয়েছে।
কোরআনের ভাষায়, ‘কৃপণের মতো তোমার হাত যেন গলায় বাধা না থাকে বা তোমার হাত যেন সম্পূর্ণ খোলা না থাকে, থাকলে তোমার নিন্দা হবে। তুমি সব খুইয়ে ফেলবে।’( সুরা বনী ইসরাঈল, আয়াত: ২৯)
আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা বিশ্বাসীদের অপরিহার্য অংশ। তবে ইসলাম একটি যুক্তিপূর্ণ ধর্ম। সে কারণে আল্লাহর নামে অযৌক্তিক কাজ করলে চলে না। কারণ আল্লাহ আমাদের বুদ্ধি–বিবেচনা দিয়ে আশরাফুল মখলুকাত হিসেবে পয়দা করেছেন। আল্লাহ ভরসা বলে স্বেচ্ছায় আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়া তো আর ইসলামের শিক্ষা নয়। ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো সচেতনতা।
দুঃস্থ-অভাবীদের অভাব মোচনে দান-সদকা নিয়ে এগিয়ে আসা একটি গুণ। দান-সদকার প্রতি ইসলাম মানুষকে অসম্ভব উৎসাহিত করেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে পেটভরে আহার করে আর তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে, সে তো মুমিনই নয়।