দান-সদকায় এগিয়ে আসা
ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো সচেতনতা। কয়েকটি সচেতনতার নমুনা কথা জানা যাক।
দান-সদকায় এগিয়ে আসা
দুঃস্থ-অভাবীদের অভাব মোচনে দান-সদকা নিয়ে এগিয়ে আসা একটি গুণ। দান-সদকার প্রতি ইসলাম মানুষকে অসম্ভব উৎসাহিত করেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে পেটভরে আহার করে আর তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে, সে তো মুমিনই নয়।
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে দান-সদকার ফজিলতও বর্ণিত হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন ভঙ্গিতে। একজন অভাবীর অভাব মোচন করতে গিয়ে নিজেকেই অভাবের শিকারে পরিণত করা থেকে ইসলাম আমাদের সতর্ক করে দিয়েছে।
কোরআনের ভাষায়, ‘কৃপণের মতো তোমার হাত যেন গলায় বাধা না থাকে বা তোমার হাত যেন সম্পূর্ণ খোলা না থাকে, থাকলে তোমার নিন্দা হবে। তুমি সব খুইয়ে ফেলবে।’( সুরা বনী ইসরাঈল, আয়াত: ২৯)
বাবা-মাকে গালি না দেওয়া
বাবা-মাকে যদি কোনো সন্তান গালি দেয় তাহলে তা অতি নিকৃষ্ট আচরণ, তা সহজেই বোঝা যায়। বাবা-মাকে গালি দিতে ইসলাম কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি তার বাবা-মাকে গালি দিলে একটি বড় গুনাহ। সাহাবিরা জানতে চাইলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! কেউ কি তার বাবা-মাকে গালি দেয়? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, কেউ একজনের বাবাকে গালি দিলে দ্বিতীয় ব্যক্তিও তার বাবাকে গালি দেবে। কেউ কারও মাকে গালি দিলে অন্য লোকটিও তার মাকে গালি দেবে। (সহি মুসলিম)
অন্যের বাবা-মাকে গালি দেওয়ার পরিণামেও যাতে নিজের বাবা-মা গালির শিকার না হন, সে বিষয়টিতেও ইসলাম সবাইকে সচেতন করে দিয়েছে। সে অর্থে শুধু নিজের নয়, অন্যের বাবা–মাকেও গালি দেওয়া খারাপ।