আল্লাহ খুশি হন তওবা করলে
কোনো অন্যায় করার পরে ভুল বুঝতে পারলে তখনই আল্লাহর কাছে তওবা করুন। ক্ষমা চান। এটি আল্লাহর কাছে অসম্ভব আনন্দের মুহূর্ত। আল্লাহ সবাইকে তাঁর কাছে তওবা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তওবায় আল্লাহর নেয়ামত ও সন্তুষ্টি মেলে। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ফিরে যাওয়ার পথ তওবা। তওবাকারীকে আল্লাহ দান করেন অসংখ্য নেয়ামত।
হাদিসে আছে, বান্দার তওবায় আল্লাহ সেই লোকের চেয়েও খুশি হন—যার খাদ্য ও পানীয় নিয়ে সওয়ারি উট হঠাৎ গভীর মরুভূমিতে হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর লোকটি হতাশ হয়ে একটি গাছের ছায়ায় শুয়ে পড়ল। সে অবস্থায় হঠাৎ উটটিকে নিজের কাছে দাঁড়ানো দেখতে পেলে সে উটের লাগাম ধরে আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে বলতে লাগল, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার বান্দা! আর আমি তোমার প্রভু! সে আনন্দে অতিশয্যেই এ ধরনের ভুল করে বসল। (মুসলিম)
হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেছেন যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ তাঁর বান্দার তওবায় সেই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন, যার উট গভীর মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়ার পর আবার সে তা ফিরে পায়। (বুখারি ও মুসলিম)
সাইয়েদুল ইসতেগফার পড়ে তওবা করুন, ‘আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহ্দিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগ্ফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।’
অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ্ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই বান্দা। আমি যথাসাধ্যভাবে তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারে আবদ্ধ। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমাকে তোমার যে নেয়ামত দিয়েছ, তা স্বীকার করছি। আর আমার করা গুনাহ্র কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করো। কারণ, তুমি ছাড়া আর কেউ (আমার) গুনাহ্ ক্ষমা করতে পারবে না।’