একবার এক আনসার নারী কাফেরদের হাতে বন্দী হলেন। তাদের আজবা নামে একটি উট ছিল। উটগুলোকে বাড়ির সামনে বিশ্রামে রাখা হতো।
নারী ছিলেন বাঁধা অবস্থায়। বন্ধন খুলে পালাতে গেলে তিনি উটের কাছে চলে যেতেন। উট আওয়াজ করে উঠলে তিনি আর পালাতে পারতেন না।
একবার তিনি আজবার উটের কাছে পৌঁছানের পরও উটটি কোনো আওয়াজ করল না। সে তার পিঠের ওপর বসে হাঁক দিলে উটটি চলতে থাকল।
সবাই তাঁর পালানোর কথা টের পেয়ে তাঁকে খুঁজতে শুরু করল। কিন্তু আজবা তাদের ব্যর্থ করে দিল। সেই আনসার নারী ও আল্লাহর নামে মানত করল যে আল্লাহ এই উটের সাহায্যে তাঁকে মুক্তি দিলেন, উটকে সে অবশ্যই কোরবানি দেবে।
ওই নারী মদিনায় পৌঁছালে লোকজন তাঁকে দেখে বলল, এ তো রাসুলুল্লাহর (সা.) উট আজবা। তিনি জানালেন যে তিনি এমন একটা মানত করে ফেলেছেন যে আল্লাহ তাঁকে এই উটের মাধ্যমে রক্ষা করলেন, উটটিকে তিনি অবশ্যই আল্লাহর নামে কোরবানি দেবেন।
ঘটনাটি তাঁরা নবীজি (সা.)–র কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন। তিনি বললেন, কী মন্দ প্রতিদান সে উটটিকে দিতে চাইছে। সে আল্লাহর নামে মানত করেছে, আল্লাহ তাকে এ উটের মাধ্যমে রক্ষা করলে সে উটটিকেই কোরবানি করবে। জেনে রাখো, পাপের ব্যাপারে মানত করলে সে মানত পূরণ করতে নেই। আর বান্দা যার মালিক নয়, সে বস্তুর মানতও পূরণযোগ্য নয়। মূলত আল্লাহর নাফরমানির বিষয়ে মানত সংঘটিত হয় না। (মুসলিম, হাদিস: ৪,০৯৯)