স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নেতা-কর্মীদের মুক্তি চাইলেন হেফাজতের আমির
হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। সোমবার রাতে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় এ বৈঠক হয়। এ সময় হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী ও সংগঠনের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ শফীর একান্ত সহকারী শফিউল আলমও ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে সারা দেশে গ্রেপ্তার সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ শেষে কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেওয়ার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা চান হেফাজতের আমির। এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা এবং মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাপারে সমন্বিত নীতিমালা তৈরির উদ্যোগের বিষয়েও কথা বলেন।
জুনায়েদ বাবুনগরীসহ হেফাজতের নেতারা সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা বের হন। বেরিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা কথা বলার চেষ্টা করলেও হেফাজত নেতারা কোনো কথা বলেননি।
হেফাজত সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পৌঁছান জুনায়েদ বাবুনগরী। খিলগাঁওয়ে জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় তিনি বিশ্রাম নেন। হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী এই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে সরকারের একটি সংস্থার সঙ্গেও হেফাজত আমির ও মহাসচিব বৈঠক করেন।
এর আগে হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী একাধিকবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেও জুনায়েদ বাবুনগরী এই প্রথম বসলেন।
গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংস ঘটনার পর হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় সরকার। সংগঠনের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ প্রায় অর্ধশত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধরপাকড়ের মধ্যে সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একপর্যায়ে হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে গ্রেপ্তার নেতাদের বাদ দিয়ে হেফাজতের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।