সিইসি, ডিসি ও এসপিকে পরিস্থিতি জানাচ্ছিলাম, অন্য ফোন আসেনি: রিটার্নিং কর্মকর্তা

শাহেদুন্নবী চৌধুরী
ছবিঃ প্রথম আলো

কোনো ফোনের কারণে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে গেছে—এমন অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী। তিনি জানান, ওই সময়ের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি সিইসি, ডিসি ও এসপির সঙ্গে কথা বলছিলেন।

ফলাফল ঘোষণার সময় বারবার কার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হচ্ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার সময় দুই পক্ষের নেতা–কর্মী ও অনুসারীদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে তখন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, সেই পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি ফোনে কথা বলছিলাম সিইসি, ডিসি ও এসপির সঙ্গে। অন্য কারও ফোন আসেনি। একটি ফোনের কারণে ফলাফল ম্যানিপুলেশন হয়েছে, একজন প্রার্থী পক্ষ থেকে যে ইঙ্গিত করা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ফল ঘোষণার শেষ সময়ে এসে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক (রিফাত) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হকের (সাচ্চু) সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। ফল ঘোষণার আগে দুই প্রার্থীরই জয়ী হওয়ার গুজব ছড়িয়ে এ হট্টগোল হয়। এ হট্টগোলের কারণে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়। পরে আরফানুল হককে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী। মনিরুলের চেয়ে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী দেখানো হয়েছে আরফানুলকে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ভোট গ্রহণ চলাকালে বৃষ্টি হয়েছে, বিদ্যুৎ চলে যায়। এ ছাড়া চারটি কেন্দ্রের ফল আসতে দেরি হয়েছে। এ কারণে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ফল তৈরিতে বিলম্ব হয়েছে। পাশাপাশি দুই পক্ষের নেতা–কর্মী ও অনুসারীদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ফলাফল ঘোষণায় দেরি হয়েছে। তিনি বলেন, ফলাফল ঘোষণার একপর্যায়ে সেখানে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ও তাঁর নেতা–কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। পরে সেখানে আরেকজন মেয়র প্রার্থীর অনুসারীরাও চলে আসেন। স্লোগানের কারণে কেউ কারও কথা শুনতে পাচ্ছিল না। এসব কারণেই মূলত ফলাফল ঘোষণা বিলম্ব হয়েছে।

আরও পড়ুন

আধা ঘণ্টার বেশি সময় কেন ভোটের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত ছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটার পেছনে অন্য কোনো কারণ ছিল না। পরিস্থিতি প্রতিকূলে ছিল বিধায় সময় লেগেছে। দুই পক্ষই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে।’

মনিরুল হক সাক্কুর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পরাজিত প্রার্থী চাইলে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন, তবে নতুন করে ফলাফল দেওয়া সম্ভব নয়। ফল ঘোষণার সময় তাঁরা কেন অভিযোগ জানাননি। কারণ, তাঁদের হাতে তো রেজাল্ট শিট ছিল। তিনি আরও বলেন, যে চারটি কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেখানে তাঁদেরও প্রতিনিধি ছিলেন। সেখানে তাঁদের যে রেজাল্ট শিট দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে আমরা যে ঘোষণা দিয়েছি, সেখানে কোনো অমিল থাকলে আমাদের বলতে পারতেন। কিন্তু সেটা তাঁরা করেননি।’

আরও পড়ুন