সাবেক সিইসি–ইসিরা বললেন, সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না

নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাবেক সিইসি, ইসি ও ইসি সচিবেরা মতবিনিময় করেনছবি: তানভীর আহাম্মেদ

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা না গেলে, তা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মনে করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ও নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিবেরা। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাবেক সিইসি, ইসি ও ইসি সচিবেরা মতবিনিময় করেন। সেখানে তাঁরা এমন মতামত দেন।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে সব দল যদি না আসে, তাহলে এটা গ্রহণযোগ্য হবে না। সুতরাং কীভাবে আনবেন, তা আপনারা কী অফার করবেন, তার ওপর নির্ভর করবে। আমার সময়ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ওয়াজ প্রবলেমেটিক (সমস্যা ছিল)। তাদের আনতে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছে। এখন তারা যেসব কথাবার্তা বলছে, তাতে তো মনে হয়, তারা নির্বাচনে যেতে রাজি নয়।’

আরও পড়ুন

আগামী জাতীয় নির্বাচনের একটাই চ্যালেঞ্জ, তা হলো সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করা উল্লেখ করে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ বলেন, ‘সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে সবাই মনে করবে, নির্বাচন ভালো হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ইনভলব (যুক্ত) হতে পারবে না। যদি তারা ইনভলব হয়ে যায়, তাহলে দেখবে যে কিছুই করা যাচ্ছে না। আমাদের সময় যারা নির্বাচন বর্জন করেছিল, তাদের আনার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সেটা হয়নি। অনেক সহিংসতা হয়েছে। ওই সময় নির্বাচন না হলে ওই সময় সহিংসতা আরও হতো।’

আবু হাফিজ বলেন, যারা সরকারি দল, তারা চিন্তা করবে দলগুলোকে কীভাবে নির্বাচনে আনা যায়।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল
ছবি: প্রথম আলো

তবে যেকোনো মূল্যে সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এটা করতে সক্ষম হলে ৮০ ভাগ কাজ হয়ে গেল।

আজকের মতবিনিময় সভায় সাবেক ২৮ জন সিইসি, ইসি ও ইসি সচিব–অতিরিক্ত সচিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁদের মধ্যে মাত্র ১০ জন অংশ নেন।