নৈতিক স্খলন
সবই হারাচ্ছেন মুরাদ হাসান
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, মুরাদ হাসান সরকার ও দলের বড় ক্ষতি করছেন।
আইনি জটিলতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সংসদ সদস্য পদও হারাতে পারেন মুরাদ হাসান।
শাহবাগ থানায় মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতা।
প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ‘স্বেচ্ছায়’ পদত্যাগের কথা জানিয়ে যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, সেটিও ভুলে ভরা।
মুরাদ হাসান একে একে সবই হারাতে যাচ্ছেন। প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। আওয়ামী লীগের জামালপুর জেলা কমিটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের প্রাথমিক সদস্যপদও হারাতে যাচ্ছেন তিনি। এরপর বাকি থাকে সংসদ সদস্য পদ। আইনি জটিলতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সাংসদ পদও হারাতে পারেন তিনি।
মুরাদ হাসান সরকার ও দলের বড় ক্ষতি করছেন—এমনটাই মনে করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা। তাঁরা বলছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করার সময় মুরাদ হাসান উল্লেখ করেন, ‘আমি যা কিছু করছি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই করছি এবং তা তিনি সবকিছু জানেন।’ এই উক্তির পর তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
দলীয় সূত্র বলছে, সাধারণত সংসদের অধিবেশন চলার সময় অধিবেশনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসনের কাছে গিয়ে মন্ত্রী-সাংসদেরা কথা বলেন, তাঁর মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেন। গত ১৪ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ১৬ নভেম্বর মুরাদ হাসান প্রধানমন্ত্রীর আসনের কাছে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কথায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ পায়। এরপরই নিজের অবস্থান সম্পর্কে মুরাদ হাসানের সতর্ক হওয়া দরকার ছিল বলে মনে করেন দলের নেতারা। কিন্তু তিনি সতর্ক না হয়ে আরও বেপরোয়া হন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর মাত্র কয়েক দিন আগেই গাজীপুর সিটি মেয়রের দায়িত্বের পাশাপাশি দলীয় পদও হারাতে হয়েছে জাহাঙ্গীর আলমকে। সাম্প্রতিক সময়ে একই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকেও, তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দলীয় সূত্র বলছে, জাহাঙ্গীর আলমকে যাতে বড় ধরনের শাস্তি পেতে না হয়, সে জন্য প্রথম দিকে প্রভাবশালী কিছু নেতা চেষ্টা-তদবির করেছিলেন। কিন্তু মুরাদ হাসানের বিষয়ে মন্ত্রিসভার অন্য কোনো সদস্য কিংবা দলের কোনো পর্যায়ের নেতা সহানুভূতি দেখাননি, তদবিরও করেননি। সবাই তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন। সেটাই হতে যাচ্ছে।
মন্ত্রিসভার একজন সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর পরিণতি বরণ করতে যাচ্ছেন মুরাদ হাসান। পবিত্র হজসহ ধর্মীয় নানা বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ২০১৪ সালে প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন লতিফ সিদ্দিকী। এরপর তাঁকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর পদও হারাতে হয়। কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। চেষ্টা করেও তিনি সংসদ সদস্য পদ ধরে রাখতে পারেননি। আর লতিফ সিদ্দিকীর তুলনায় মুরাদ হাসান কিছুই না। তাঁর পক্ষে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। দলে তাঁর বড় কোনো ভূমিকা কখনো ছিল না, শুভাকাঙ্ক্ষীও নেই।
আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন বক্তব্যের পর ব্যবস্থা না নিলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক শিষ্টাচার মানে না—এমন অভিযোগ উঠত। এ ছাড়া একজন চিত্রনায়িকাকে রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে উঠিয়ে আনার কথা বলা প্রকাশিত হওয়ার পর সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। অনেকে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাবে, সরকার এভাবে রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে, গুম করে। এ ছাড়া নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য আসার পরও সরকার ব্যবস্থা না নিলে মানুষ বিষয়টি ভালোভাবে নিত না।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সাংসদ। তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার সেই পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ। এই সিদ্ধান্ত সুপারিশ আকারে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে পাঠাতে হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে, কেন্দ্রীয় কমিটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে যে কাউকে প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও বহিষ্কার করতে পারে। সে ক্ষেত্রে মুরাদ হাসানের সাংসদ পদে টিকিয়ে রাখা নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হবে।
আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রথম আলোকে বলেন, সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। এ পরিস্থিতিতে দল চাইলে কোনো সাংসদকে ছেঁটে ফেলতে ভাবতে হয় না। ফলে মুরাদ হাসানের প্রাথমিক সদস্যপদ কেড়ে নেওয়ার পর তাঁর সাংসদ পদ থেকেও বাদ পড়া অস্বাভাবিক নয়।
মুরাদ হাসান ২০০৮ সালে প্রথম সাংসদ হন। এরপর ২০১৪ সালে মনোনয়ন পাননি। ২০১৮ সালে পুনরায় সাংসদ হয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৯ সালের মে মাসে তাঁকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর করা অশ্লীল মন্তব্যকে ঘিরে কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি নিজের বক্তব্যে অটল থাকেন। বিবিসি বাংলাকে বলেন, তিনি এই বক্তব্য দিয়ে কোনো ভুল করেননি। এর মধ্যেই গত সোমবার ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপের আরেকটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন, একই সঙ্গে তাঁকে হুমকিও দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এরপর তিনি আর প্রকাশ্যে আসছিলেন না।
মুরাদ হাসান গতকাল তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি অথবা আমার কথায় মা-বোনদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকি, তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।’
দলীয় পদ হারালেন মুরাদ
প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর গতকাল বিকেলে জরুরি বৈঠকে বসে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ। সন্ধ্যায় জানানো হয়, মুরাদ হাসানকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, আগে যে কাউকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা যেত। কিন্তু কেন্দ্র থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে নিষেধ আছে। চাইলে কেন্দ্রীয় কমিটি তাঁকে বহিষ্কারসহ যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারে।
মুরাদ হাসানের মতো রুচিবিবর্জিত ব্যক্তি আওয়ামী লীগে থাকতে পারেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে কার্যনির্বাহী সংসদে আলোচনা হবে।
পদত্যাগপত্র গ্রহণ
মুরাদ হাসান সোমবার ব্যক্তিগত সফরে চট্টগ্রামে যান। সেখান থেকেই তিনি তাঁর দপ্তরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে গতকাল সকালে পদত্যাগপত্র তৈরি করেন। পরে সেটি সই করে ই-মেইলে তাঁর দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠান। দুপুরের পর মুরাদ হাসানের পক্ষে তাঁর পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দিয়ে আসেন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। কিন্তু ওই পদত্যাগপত্রে তিনি তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ উল্লেখ করেন ২০২১ সালের ১৯ মে। পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা তারিখটি ঠিক থাকলেও সালটি ভুল। তাঁকে ২০১৯ সালের ১৯ মে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে অবশ্য সেটি সংশোধন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেওয়া হয়। মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্রে অন্তত ১১টি বানান ভুল ছিল।
এই পদত্যাগপত্র সারসংক্ষেপ আকারে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর রাতে মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ বিষয়ে রাতেই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে সোমবার রাতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কক্ষ সাজানোর আগেই বিদায়
গতকাল তথ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান যে কক্ষে বসতেন, সেটি সংস্কার করে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছিল। এ জন্য সাময়িকভাবে প্রতিমন্ত্রী আরেকটি কক্ষে বসতেন। কিন্তু কক্ষ সাজানোর আগেই পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি।
মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে তাঁর (মুরাদ হাসান) মধ্যে আমি কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ করেছি। তাঁর কিছু বক্তব্য ও ঘটনা সরকার এবং দলকে বিব্রত করেছে।’
আইনি প্রক্রিয়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে হেয় করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের চরিত্র হননের অভিযোগে মুরাদ হাসানের নামে শাহবাগ থানায় গতকাল মামলার আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুলিয়াস সিজার তালুকদার।
মুরাদ হাসানের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন হাইকোর্ট। এ জন্য বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে কথা বলতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে আজ বুধবার আদালতকে জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে বলা হয়েছে।
এদিকে মুরাদ হাসানের সঙ্গে চিত্রনায়িকা মাহির ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় চিত্রনায়ক ইমনকে গতকাল বিকেলে র্যাব সদর দপ্তরে ডাকা হয়। ইমনের ফোন থেকে মাহি কথা বলেছিলেন মুরাদ হাসানের সঙ্গে। ফাঁস হওয়া অডিও নিয়ে গতকাল ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন র্যাব কর্মকর্তারা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা উত্তরার র্যাব সদরে থাকার পর গত রাত ১১টার দিকে তিনি বেরিয়ে আসেন।
এর আগে সোমবার রাতে মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে যান ইমন। গত সোমবার চিত্রনায়িকা মাহি ভিডিও বার্তায় বলেন, মুরাদ হাসানের সঙ্গে দুই বছর আগে ওই ফোনালাপ হয়েছিল।
সরকার ও দলীয় সূত্রগুলো বলছে, এখন পর্যন্ত মুরাদ হাসানের নৈতিক স্খলনের শাস্তি হয়েছে। কিন্তু চিত্রনায়িকার সঙ্গে ফোনালাপসহ অশালীন অন্যান্য বক্তব্য ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা ফৌজদারি অপরাধের বিচার করার সুযোগ আছে।
প্রতিমন্ত্রীর পদে থেকে মুরাদ হাসান নারীর প্রতি অবমাননাকর যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে ইঙ্গিত করে গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘...এমন ধর্ষকামী আইনপ্রণেতাকে দ্রুত বিচারিক আদালতে আইনি শাস্তির মুখোমুখি করা প্রয়োজন। তাই মহান জাতীয় সংসদের সদস্য পদ থেকেও তাঁকে খারিজ করা দরকার।’