২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

শেখ হাসিনা রাজনীতিতে আশার আলো ফিরিয়েছেন

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অতিথিরা। ঢাকা, ১৭ মে। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অতিথিরা। ঢাকা, ১৭ মে। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন শেষে অনেক প্রতিকূল পরিবেশে ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে অন্ধকারে নিমজ্জিত রাজনীতিতে আশার আলো ফিরিয়ে দিয়েছেন। শেখ হাসিনার আগমনে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পেয়েছিল। তাঁকে তখন দলের সভাপতি নির্বাচিত করাটাও যে সঠিক ছিল, পরবর্তীতে তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে সেটি প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ শুক্রবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৮ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও আলোচনা সভার প্রধান অতিথি আমির হোসেন আমু বলেন, সেদিন আওয়ামী লীগ যে কারণেই তাঁকে সভাপতি নির্বাচিত করুক না কেন, পরবর্তীতে তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব, রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্ব প্রমাণ করে দিয়েছে শেখ হাসিনাকে সভাপতি নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির অগ্রদূত। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা দেশের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছেন।

সভাপতির বক্তব্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা তিনটি শপথ নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। পিতৃহত্যার বিচার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা—এসবই তিনি করেছেন। শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান, কাজ সমাপ্তের পথে। যে টানেলের কথা কখনো কেউ ভাবেনি, সেই টানেলও নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি তাদের কর্মের কারণে এখন প্রায়শ্চিত্ত করছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, দেশে ধানের দাম নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা হচ্ছে, আমি জানি। আমাদের জন্য উভয়সংকট চলছে। আমরা চাই সীমিত আয়ের মানুষের জন্য দাম কম থাকুক। আবার যারা ধান উৎপাদন করেন, তাঁরাও যেন ন্যায্য মূল্যটা পান। প্রয়োজনে ধান-চাল রপ্তানি করে কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখা হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার দেশে ফেরার তিনটি মাত্রা আছে। প্রথম মাত্রা তাঁর নেতৃত্ব। দ্বিতীয় মাত্রা হলো তিনি না ফিরলে আওয়ামী লীগের সংকট দূর হতো না। তৃতীয় মাত্রা হলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যে বাংলাদেশ হারিয়ে গিয়েছিল, সেই বাংলাদেশকে ফিরিয়ে এনেছেন।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আজ যারা আইনের শাসনের কথা বলেন, তাদের নেতা ‘খুনি’ জিয়াউর রহমান আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। পাকিস্তানের এজেন্ট, পাকিস্তানের সহযোগী শক্তি বিএনপি-জামায়াত আবারও গণতন্ত্রের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অশুভ তৎপরতা চালিয়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বাধার সৃষ্টি করেছে। এই অশুভ তৎপরতার প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব, এটাই আজকের দিনের প্রত্যয়।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, তথ্যমন্ত্রী এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।