রোজিনা ইসলামের ওপর নির্যাতনের তদন্ত দাবি
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তি এবং সচিবালয়ে তাঁর ওপর নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই দাবিতে মানববন্ধন করে দলটি।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, যে আইন করা হয়েছিল ব্রিটিশ শাসন রক্ষার জন্য, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার তা ব্যবহার করছে নিজেদের রক্ষার জন্য। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ নিয়ে ‘এক কোটি এখন দিব, পরে আরও ১ কোটি দেব’ বা করোনাকালে চুরি–দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হয়, তখন এই সরকারের পায়ের তলার মাটি সরে যায়। তিনি আরও বলেন, সচিবালয়ের আমলারাও গুন্ডাপান্ডায় পরিণত হয়েছে। তাঁরা একজন সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলেন।
অন্যদের মধ্যে দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া এবং জুলহাসনাইন বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাধারণ শিষ্টাচার ও ভদ্রতার ধার না ধেরে রোজিনা ইসলামকে পাঁচ–ছয় ঘণ্টা আটকে রেখেছেন, তাঁর ব্যাগ ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়েছেন। গোপন নথি চুরির অপবাদ দিয়ে ব্রিটিশ উপনিবেশের তৈরি করা অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনে তাঁর নামে মামলা করা হয়েছে এবং সারা রাত থানায় আটকে রাখা হয়েছে। রোজিনা ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়নি।