যুবলীগে পদ পেলেন যাঁরা
সম্মেলনের প্রায় এক বছরের মাথায় ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ।
আজ শনিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা করে যুবলীগ।
সংগঠনের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া ২৭ সদস্যের প্রেসিডিয়াম তালিকায় আরও আছেন শেখ সোহেল উদ্দিন, শেখ ফজলে ফাহিম, ময়মনসিংহ-১–এর সাংসদ জুয়েল আরেং, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জ, রংপুর-২ আসনের সাংসদ আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী। প্রেসিডিয়ামের পাঁচটি পদ ফাঁকা আছে।
নতুন কমিটিতে সবচেয়ে আলোচিত নাম মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী।
২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুই দফায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে সাংসদ হন তিনি। এর আগে দলীয় কোনো পদে না থাকলেও এবার যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন তিনি।
এর আগের কমিটি ১৫১ সদস্যের হলেও এবার ৫০টি পদ বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া ২০০ সদস্যের জাতীয় কমিটিও ঘোষণা করেছে যুবলীগ। গত সম্মেলনের আগে যুবলীগে ৫৫ বছরের বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ায় আগের কমিটির অনেকেই বাদ পড়েছেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মো. বদিউল আলম, শেখ ফজলে নাঈম ও মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দ্দার। এবার সাবেক ছাত্রলীগের অনেকে জায়গা পেয়েছেন যুবলীগে। এর মধ্যে আছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্য হয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থর ছোট ভাই আশিকুর রহমান (শান্ত)।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। ব্যাপকভাবে সমালোচনার মুখে পড়ে যুবলীগ। সংগঠনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বেশ কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান।
সংগঠনটির জাতীয় সম্মেলন করা হয় ওই বছরের ২৩ নভেম্বর। সম্মেলনে নতুন চেয়ারম্যান হন শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক হন মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর দিনেই আটক হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এরপর একই কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও সহসভাপতি এনামুল হক আরমান আটক হন। ক্যাসিনো–বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন অভিযোগে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একাধিক নেতা সংগঠন থেকে বহিষ্কার হন।
যুবলীগের চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন নেতার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যুবলীগের চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করা হয়। যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।