যশোরে পরশু উপনির্বাচন, বিএনপির ৫ নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ

যশোরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা আহ্বায়ক , সদস্য সচিবসহ পাঁচ নেতার বাড়িতে শনিবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বাড়ির জানালা-দরজা ও ফটক ভাঙচুর করে গালিগালাজ করার ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বিএনপির দলীয় সূত্রের দাবি, শনিবার রাত একটা থেকে বিএনপির নেতাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ঘোপ এলাকার বাড়িতে গিয়ে ফটকে ধাক্কাধাক্কি করেন দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগম এবং ছেলে দলের খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামের নাম ধরে গালিগালাজ করা হয়। পরে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হকের উপশহরের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা জানালা-দরজার কাচ ভাঙচুর করে। প্রধান ফটক কুড়াল দিয়ে কোপানো হয়। একই সময়ে জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি গোলাম রেজা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনীর আহমেদ সিদ্দিকীর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এসব হামলার ঘটনায় কেউ আহত না হলেও সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

যশোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, '২০ অক্টোবর যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন। আমরা যাতে ভোটের মাঠে না থাকি, এ জন্য নেতাদের বাড়িতে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। রাতে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) একাধিকবার ফোন দিয়েছি। কিন্তু কেউ ফোন ধরেননি। সকালে পুলিশের বিশেষ শাখার একটি দল বাড়িতে এসে দেখে গেছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, 'ব্যস্ত আছি। পরে ফোন দেন।'

বিএনপি নেতার অভিযোগের বিষয়ে জানতে যশোর আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলামকে কল করলে তিনি ধরেননি। আর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূরজাহান ইসলামের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কেউ হামলা করেননি। বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।’