ভোটে ‘প্রভাব’ থাকায় মনিরুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দক্ষিণাঞ্চলের ৯টি ওয়ার্ডের ভোটারদের ওপর ‘প্রভাব’ রয়েছে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীর। গত দুটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কুর জয়ের মাধ্যমে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এবারও মনিরুল হকের প্রতি এই সাবেক সংসদ সদস্যের ‘সমর্থন’ রয়েছে বলে ভোটারদের মধ্যে আলোচনা রয়েছে। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁর অনুসারীরা।
অবশ্য মনিরুল হক চৌধুরীর দাবি, এ নির্বাচনে তাঁর দলের অংশগ্রহণ নেই। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে তিনি কোথাও কোনো ধরনের মন্তব্য করছেন না বা কারও প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন না।
সদর ও সদর দক্ষিণ নিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠিত। কুমিল্লা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬৪ সালের ৩০ নভেম্বর। ২০০৩ সালের ৩০ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় সদর দক্ষিণ পৌরসভা। এতে বিএনপির তৎকালীন সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরীর অবদান রয়েছে বলে ভোটাররা মনে করেন। পরে ২০১১ সালের ১০ জুলাই দুই পৌরসভাকে একীভূত করে সিটি করপোরেশন করা হয়।
এরপর অনুষ্ঠিত গত দুটি নির্বাচনে (২০১২ ও ২০১৭ সালে) বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক দক্ষিণের ৯টি ওয়ার্ডে অনেক বেশি ভোট পান, যা তাঁর জয়ে বড় ভূমিকা রাখে। দুই নির্বাচনেই মনিরুল হকের পক্ষে মাঠে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী। এবারও তিনি ভেতরে ভেতরে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন—এমন প্রচার নির্বাচনী এলাকায় রয়েছে। সাক্কু বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে এবার প্রার্থী হন। অবশ্য পরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এরই মধ্যে গত ১৯ মে রাতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল টেবিল টকে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক (রিফাত) প্রথমে ১৩ কোটি, এরপর ২০ কোটি, এরপর ৬০ কোটি টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনেছেন। তাঁর কথায় সমর্থন জানান মনিরুল হক চৌধুরী। এ ঘটনায় গত বুধবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মনিরুল হক চৌধুরী, কলিমুল্লাহসহ অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের নামে মামলা করা হয়।